বিপিএলের শুরুটা হয়েছিল হার দিয়ে। শুধু তা-ই নয় পরের দুই ম্যাচেও হারতে হয়েছে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৮৫ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৫১ রানেই থেমে গেছে ঢাকা। যদিও হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু জয়ের জন্য সেভাবে কোনো তাড়নাই লক্ষ্য করা যায়নি দলটির ভেতর। অধিনায়ক নাসির হোসেনের ৪৫ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংসটি কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। কুমিল্লার হয়ে একটি করে উইকেট নেন হাসান আলী, তানভীর ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ঢাকা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফর্মে থাকা ওপেনার লিটন দাসকে তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় লিটনকে। এরপর অবশ্য কুমিল্লাকে ভালোই চাপে রাখে ঢাকা। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়লেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ইমরুল কায়েস। ২৬ বলে ৩৩ রান করে নাসিরের বলে ফেরেন তিনি। সুবিধা করতে পারেননি জনসন চার্লসও। শরীরে ক্যারিবীয় রক্ত বইলে মাত্র ১৯ বলে ২০ রান করেন তিনি।
তার চলে যাওয়াটা আশীর্বাদ হয়েই আসে কুমিল্লার জন্য। কেননা খুশদিল একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে থাকেন। প্রথম ৬ বলে ৪ রান করলেও পরের ৫ বলে ২৬ রান তোলেন তিনি। ফিফটি স্পর্শ করেন মাত্র ১৮ বলে। যা বিপিএলের এই আসরে দ্রুততম। সৌম্য সরকারের শিকার হওয়ার আগে ২৪ বলে ৭ চার ও ৫ ছয়ে ৬৪ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি ব্যাটার। কুমিল্লাও পৌঁছে যায় সুবিধাজনক স্থানে। অপর প্রান্তে পুরো ২০ ওভার ক্রিজে থেকেও ৫৫ রানের বেশি করতে পারেননি রিজওয়ান। ইনিংসটি সাজাতে ৪৭ বল খরচ করেছেন তিনি। ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ২৬ রানে এক উইকেট নিয়ে এদিনও সেরা বোলার ছিলেন তাসকিন আহমেদ।
৬ ম্যাচে ৩ জয় ও ৩ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে উঠে এসেছে কুমিল্লা। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে ১ জয় ও ৪ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে ঢাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
এএইচএস