তাড়া করতে নেমে মাত্র দ্বিতীয় বলেই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারকে হারায় খুলনা টাইগার্সের। কিন্তু প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনাকে কেবল ১৫৮ রানের লক্ষ্য দেয় চট্টগ্রাম। ঘরের মাঠে চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই হারল স্বাগতিকরা। আজ ব্রেক থ্রু পেতে যদিও খরচ করে মাত্র দুই বল। মুনিম শাহরিয়ারকে (০) নিজের বলেই তালুবন্দী করেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। কিন্তু এরপর দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবালকে নিয়ে ১০৪ রানের লম্বা জুটি গড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। আগের ম্যাচের তুলনায় এদিন তামিমের ব্যাটের গতি ছিল কিছুটা ধীরস্থির। ৩৭ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৪৪ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে ইনিংসটি খেলার পথে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম। নিহাদুজ্জামানের বলে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
তামিমের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর দলীয় ১০৯ রানে ফিরে যান মাহমুদুলও। এবারও শিকারী নিহাদুজ্জামান। ৪৪ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৯ রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল। তাতে খুলনা কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ম্যাচে ফেরে। কিন্তু শেষটা নিজের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলেন ইয়াসির। ১৭ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন খুলনা অধিনায়ক। অপর প্রান্তে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন আজম খান। দুজনে মিলে চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৫০ রানের জুটি গড়েন।
টস জিতে আগে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় খুলনা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার ম্যাক্স ও'দউদকে তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে অপর প্রান্তে ঝড় তোলেন উসমান খান। আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ শুরু এনে দেন চট্টগ্রামকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটি আসে এই দুজনের ব্যাট থেকে। আমাদ বাটের বলে নাসুম আহমেদকে উসমান ক্যাচ দিলে ভাঙে সেই জুটি। ৩১ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৪৫ রান করেন উসমান।
এরপর দারউইশ রাসুলিকে নিয়ে এগোতে থাকেন আফিফ। কিন্তু খুব বেশি দূর যেতে পারেননি। ৩১ বলে ৩৫ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের ফাঁদে পা দেন তিনি। বাকি সময়টায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে চটগ্রামের ব্যাটিং লাইন-আপ। ওয়াহাব রিয়াজের করা শেষ ওভারে টিম হ্যাটট্রিক করে খুলনা। শেষদিকে ফরহাদ রেজা ৯ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২১ রান না করলে দেড়শো পেরোনোও মুশকিল হয়ে যেত চট্টগ্রামের। খুলনার হয়ে ওয়াহাব চারটি ও সাইফউদ্দিন নেন দুটি উইকেট।
আসরের প্রথম তিন ম্যাচে হারলেও টানা দুই জয়ে পাঁচ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন টেবিলের চারে উঠে এসেছে খুলনা। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রামের অবস্থান ছয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৫৭/৯ (উসমান ৪৫, আফিফ ৩৫; ওয়াহাব ৪/৩৬)।
খুলনা টাইগার্স: ১৫৯/৩ ( তামিম ৪৪, মাহমুদুল ৫৯, ইয়াসির ৩৬*; নিহাদুজ্জামান ২/৩২)।
ফল: খুলনা ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ-সেরা: মাহমুদুল হাসান জয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
এএইচএস