শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিল ৩৪ রান। এর মধ্যে ১৮তম ওভার করতে এসে একাই ১৯ রান দিয়ে দেন ফরহাদ রেজা।
কিন্তু পরের বলেই তাকে ছক্কা হাঁকিয়ে খুলনা টাইগার্সকে জয় এনে দেন ইয়াসির আলী রাব্বি। ম্যাচে ৩ ওভার ২ বল হাত ঘুরিয়ে ৩২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন নিহাদুজ্জামান। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তিনি। তার কণ্ঠে ছিল ‘নায়ক’ হতে না পারার আফসোস।
শেষ ওভারে কেমন পরিকল্পনা ছিল এ নিয়ে নিহাদ বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল আমি জায়গাতেই বল করব। কারণ ৬ বলে ৫ রান নিয়ে তো খুব বেশি কিছু সম্ভব না। আমি স্পিনার আমার কাছে সেই সুযোগ নেই যে আমি বাউন্সার মেরে একটা উইকেট মেরে দেব। আমার পরিকল্পনা ছিল ডট বল করার। এরপর বল বাই বল চিন্তা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুই বলেই ছয় হয়ে গেছে। ’
ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন অনেক দেখেছেন নিহাদুজ্জামান। মাঝে দুই বিপিএলে খেলাই হয়নি। এবার অবশ্য সুযোগ পাচ্ছেন বেশ নিয়মিত। একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে তাকে লড়তে হচ্ছে জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ তাইজুল ইসলামের সঙ্গে। ক্যারিয়ার নিয়ে আসলে পরিকল্পনা কী?
নিহাদ বলেন, ‘আমি খুব ভালো প্ল্যাটফর্মে ছিলাম। ছোটবেলা থেকে, অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭, ১৯... বিশ্বকাপও খেলেছি, এইচপিতে ছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার জীবনে পরপর কয়েকটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। চোটেও পড়েছি আমি। আমার বাঁ হাত ভেঙে গিয়েছিল। অ্যাকশন পরিবর্তন করতে হয়েছিল। আমি আমার জীবনের খুব বাজে সময় পার করেছি। আমার জন্য ফেরার খুব ভালো প্ল্যাটফর্ম এটা। ’
‘শেষ দুটা বিপিএল গ্যাপ গিয়েছে, তো আমার জন্য এটা খুবই একটা বড় সুযোগ। আজকের ম্যাচে হিরো হওয়ার সুযোগ ছিল। প্রত্যেকদিন সবার জীবনে এই সুযোগ আসে না। এখানেই বড় খেলোয়াড় আর ছোট খেলোয়াড়ের পার্থক্য। সাকিব ভাই হলে হয়তো ম্যাচটা জিতিয়ে দিতো। সে কারণেই সাকিব ভাই বিশ্বসেরা। তবে চেষ্টা করব পরের বার যখন সুযোগ পাব, তখন কাজে লাগানোর, হিরো হওয়ার। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৯৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস