২০২২ সালে দুর্দান্ত একটি বছর কাটিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই পারফর্ম করেন সমানতালে।
গত বছর ১৫টি ওয়ানডে খেলেন মিরাজ। তাতে বল হাতে নিয়েছেন ২৪ উইকেট। ব্যাটিংয়ে এক সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিসহ ৩৩০ রান করেছেন তিনি। তার বোলিং নিয়ে কারোরই কোনো সন্দেহের অবকাশ। বরাবরের মতোই ছিলেন কার্যকরী ভূমিকায়। তবে গত বছর ব্যাটিংয়ে মিরাজের উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বছরের শুরুতেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেন এক কালজয়ী ইনিংস।
চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডেতে ২১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৪৫ রানেই হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। জয় তখন অসম্ভবই মনে হচ্ছিল। কিন্তু আফিফ হোসেন ধ্রুবকে সঙ্গে সেই অসম্ভবকে সম্ভবে রূপ দেন তিনি। ১২০ বলে ৯ চারে অপরাজিত ছিলেন ৮১ রানে।
বছরের শেষদিকে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। সেই সিরিজ জয়ের নায়ক মিরাজ। প্রথম ওয়ানডেতে ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে আরও উজ্জ্বল তার ব্যাট। এবার চাপের মুখে ব্যাট করতে নেমে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ৮৩ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন এই ডানহাতি।
মিরাজ ছাড়া ওয়ানডে একাদশে বাংলাদেশের আর কেউই জায়গা পাননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের দুইজন করে ক্রিকেটারের নাম আছে তাতে। এছাড়া পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের একজন ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন।
বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), ট্রাভিস হেড, শাই হোপ, শ্রেয়াস আইয়ার, টম ল্যাথাম, সিকান্দার রাজা, মেহেদী হাসান মিরাজ, আলজারি জোসেফ, মোহাম্মদ সিরাজ, ট্রেন্ট বোল্ট, অ্যাডাম জ্যাম্পা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
এএইচএস