ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘পরিবার কষ্ট পায়’- ট্রলকারীদের উদ্দেশে শান্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
‘পরিবার কষ্ট পায়’- ট্রলকারীদের উদ্দেশে শান্ত ছবি: শোয়েব মিথুন

মাঠে ভালো খেলে দল জেতালেন। হলেন ম্যাচসেরাও।

 তারপরও ট্রলের শিকার হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ অভিজ্ঞতা অবশ্য নতুন নয় তার জন্য। কিন্তু এমন আচরণ যে তার এবং তার পরিবারের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে; তা হয়তো ট্রলকারীদের জানা নেই। বিষয়টা নিয়ে হতাশাই ঝরে পড়লো শান্তর মুখ থেকে।  

ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৬৬ বলে অপরাজিত ৮৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের ওপেনার শান্ত। প্রথম ৪৮ বল খেলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর বাকি ৩৯ রান করেছেন মাত্র ১৮ বলে। পরে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতেই। শুধু এ ম্যাচেই নয়, এবারের বিপিএলে তার ব্যাটে রান আসছে নিয়মিতই। কিন্তু তারপরও সমালোচনা থেকে মুক্তি মিলছে না তার।

প্রেস কনফারেন্সে তাই সমালোচনাকে পাত্তা না দেওয়ার কথাই বললেন শান্ত, ‘পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটা আমি বলতে পারবো না। এটা যার যার চিন্তাভাবনা থেকে বলে। আমি এটা নিয়ন্ত্রণও করত পারব না। পরিবর্তন হবে কি হবে না সেটা নিয়ে আমি খুব চিন্তিতও না। যদি হয় তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। যদি না হয় আমার হাতে কিছু নেই। এটা যার যার চিন্তা ভাবনা থেকেই বলে। ’

লিটন দাস কিংবা মোহাম্মদ মিঠুনকে আগে নিয়মিতই ট্রলের শিকার হতে হতো। বাদ যাননি তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকারের মতো খেলোয়াড়রাও। তবে শান্তকে নিয়ে ট্রোলের ধরন একেবারেই আলাদা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে প্রায়ই তাকে উদ্দেশ্য করে নোংরা শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করা হয়। কীভাবে এসব মোকাবিলা করেন তিনি? এমন প্রশ্নের জবাবে শান্ত জানান তার পরিবারের ওপর এসব গভীরভাবে প্রভাব ফেলে।  

জাতীয় দলের তারকা ব্যাটার বলেন, 'সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমার জন্য যতটা না কঠিন...তার থেকে বেশি কঠিন আমার পরিবারের জন্য। আমি যেভাবে বুঝি আমার পরিবারের সদস্যরা কিন্তু সেভাবে বোঝে না। তারা হার্ট হয়, তাদেরও কষ্ট লাগে, তারা কষ্ট পায়। তারাও বাইরে যায়। এই জিনিসটার জন্য আমি মাঝে মাঝে আপসেট হয়েছি। আমার কষ্ট লেগেছে। কিন্তু এটা তো আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। ’

খারাপ করলে সমালোচনা হবে, শান্ত তা ভালোভাবেই জানেন। কিন্তু সেই সমালোচনা যদি না জেনে-বুঝে হয়, তাহলে তার পক্ষে মেনে নেওয়া কষ্টকর। তিনি বলেন, ‘অনেকে না জেনে, অনেকে না বুঝে হয়তো কথা বলে ফেলে। দলের পরিকল্পনা, আমার পরিকল্পনা কিংবা আমি কতোটা হার্ড ওয়ার্ক করি সেসব বলে দেয়। অনেকে জানে না। অনেকের জানার প্রয়োজনও নেই। ’ 

‘এগুলো নিয়ে যত বেশি কথা আমি বলবো তত বেশি বলা হবে। এটা আসলে যার যার চিন্তা থেকে বলে। কিন্তু তারা যদি বুঝে কথা বলে, জেনে কথা বলে তাহলে ভালো। আমি এটা বলছি না যে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। আমি খারাপ খেললে অবশ্যই সমালোচনা হবে। আমি মনে করি আরও ডিসেন্ট ওয়েতে হতে পারত। যেটা আমার পরিবারের জন্য ভালো হতো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।