সিলেট থেকে: জাতীয় দলের হয়ে অনেকদিন ধরেই সময় ভালো কাটছে না ইয়াসির আলী রাব্বির। সমালোচনাও কম হয়নি।
এবারের বিপিএলে অবশ্য মন্দ করছেন না। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসও আছে। শনিবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচেও দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের দ্বারপ্রান্তে। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ৩০ রানের পরও অবশ্য খুলনা টাইগার্স হেরেছে ৪ রানে।
খারাপ সময়ে এমন ইনিংস নিশ্চয়ই ইয়াসিরের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। খারাপ সময়কে ইয়াসির আসলে কীভাবে দেখেন? শনিবার সিলেটে খুলনার ম্যাচের পর জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কাছে। ইয়াসির বলেছেন, ‘লেসন... এটা শিক্ষা কীভাবে খারাপ সময়ে থাকতে হয়, খারাপ সময় কীভাবে নিজেকে ধরে রাখতে হয়, কী কাজ করতে হয় না করতে হয়। এটাই। ’
গত কয়েকদিন ধরে বেশ আলোচনা চলছে ক্রিকেটারদের সমালোচনা নিয়ে। নাজমুল হোসেন শান্ত সামনে এনেছিলেন নিজের পরিবারের কষ্ট পাওয়াকে। মাশরাফি বিন মর্তুজা এরপর নিজেকে ‘ভাগ্যবান’ বলেছেন ফেসবুক প্রজন্মের না হওয়ায়। ইয়াসিরও কি নিজের খারাপ সময়ে ভেঙে পড়েছেন?
তিনি বলেছেন, ‘ভেঙে পড়িনি। কষ্ট তো লাগে সবসময়। খারাপ তো লাগে যখন খারাপ খেলি। ভেঙে পড়ার মতো কিছু হলে তো জীবন চলবে না। ওরকম কিছু না। লাইফ ইজ নট অ্যা বেড অব রোজেস (জীবন গোলাপের বিছানা নয়)। খারাপ সময় আসবে, খারাপ সময় উতরাতে হবে। আমার চেয়ে বেশি খারাপ সময় আরও অনেকের গিয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলি। নিজের ইতিবাচক জায়গা রাখার চেষ্টা করি, এটাই। ’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ১৭ রান করতে হতো খুলনা টাইগার্সকে। তখন পরিকল্পনা কী ছিল? জানতে চাইলে ইয়াসির বলেছেন, ‘বল দেখবো, মারবো। অল-আউট। ’
শেষ বলে দরকার ছিল ৬ রান। তখনকার ভাবনা নিয়ে ইয়াসির বলেন, ‘ছক্কা। এক বলে ছয় রান লাগে ম্যাচ জিততে। তার পরিকল্পনা আমি জানতাম, সে ব্লকে করবে। ওখানে তো এক্সিকিউট করা কঠিন সবসময়। আর সে স্পিনার। একটা যদি এদিক-ওদিক হয়। আমি হিট করতে পারবো। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৮২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
এমএইচবি/ এএইচএস