টেস্ট ক্রিকেটে শুরু ও শেষটা হয়েছিল তিন মাসের ব্যবধানে। তা পেছনে ফেলে সাদা বলের ক্রিকেটেই মনযোগ দেন অ্যারন ফিঞ্চ।
৩৬ বছর বয়সি ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘২০২৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমি খেলে যাব না বোঝার পর মনে হলো, ওই আসরের জন্য পরিকল্পনা করা ও দল গড়ে তোলার জন্য আমার সরে যাওয়ার এখনই সঠিক সময়। ’
‘দলীয় সাফল্যের জন্যই আমরা খেলাটা খেলি এবং ২০২১ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় ও ২০১৫ সালে ঘরের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মুহূর্ত দুটি আমি সবচেয়ে বেশি লালন করব। ১২ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা এবং সর্বকালের সেরা কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে ও বিপক্ষে খেলতে পারাও ছিল আমার জন্য অবিশ্বাস্য সম্মানের। ’
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে খেলেছিলেন ফিঞ্চ। ২০ ওভারের এই ফরম্যাটে ১০৩ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। যার মধ্যে ৭৬ ম্যাচেই নেতৃত্ব দেন দলকে। ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার। অবসর নিচ্ছেন দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে। ৩৪.২৮ গড়ে ৩ হাজার ১২০ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড।
ফিঞ্চের অধীনেই ২০২১ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু পরের বছর ঘরের মাঠে সেই শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি। ফিঞ্চ না থাকায় টি-টোয়েন্টির জন্য নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। গত সেপ্টেম্বরে ওয়ানডে ছাড়ার পর তার উত্তরসূরি হয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। ওয়ানডের আগে ২০১৮ সালেই থেমে যায় তার টেস্ট যাত্রা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩
এএইচএস