এবারের বিপিএলজুড়ে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন সাকিব আল হাসান। ১২ ম্যাচে ৪১.৬৬ গড়ে ৩৭৫ রান করে লিগ পর্ব শেষে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও ছিলেন তিনি।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচটিতে তার আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন করিম জানাত ও ভানুকা রাজাপক্ষে। ইনিংসের শেষদিকে ড্রেসিং রুমের ভেতর মাঠে নামার জন্য অস্থিরতা দেখা যায় সাকিবের মধ্যে। ম্যাচের পর ফরচুন বরিশালের কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছিলেন, পরে নামার সিদ্ধান্ত ছিল সাকিবের নিজেরই।
তিনি বলেছেন, “অধিনায়কেরই সিদ্ধান্ত থাকে সাধারণত। এমন না যে আমাদের সঙ্গে আলাপ করেনি। কিন্তু এটা ‘ক্যাপ্টেন্স কল’। ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিল যে ওরা ভালো খেলোয়াড়, তারা যদি যায়; দুয়েক ওভারে যদি এক্সালেরেট করে নিয়ে আসতে পারে। আমাদের সেরকম একটা অবস্থান ছিল, এক উইকেট বা দুই উইকেট হারালেও অসুবিধা হতো না আমাদের। ওই সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। ’
রংপুরের বিপক্ষে শেষ অবধি বরিশাল পেয়েছিল ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানের সংগ্রহ। করিম জানাত ২৫ বলে ৩৩ ও রাজাপক্ষে ১০ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাতে দলের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে ম্যাচশেষে জানিয়েছেন ফাহিম। তাহলে কোন ভাবনায় সাকিব আগে নামালেন রাজাপক্ষে ও কারিমকে?
জবাবে বরিশাল কোচ বলেছেন, ‘এত ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম হওয়ার পরেও ওর মাথায় হয়তো এটা কাজ করেছিল যে রাজাপক্ষে কিংবা করিমকে আগে পাঠিয়ে ফ্রি করে দিলে ওরা যদি স্বাধীনভাবে খেলে। যতটুকুই রান করুক না কেন, সেটা যদি ভালো রেটে করতে পারে; দলের কাজে আসবে। ’
‘ও শেষে গিয়ে ওর কাজ করবে। কিন্তু আমার মনে হয় না ওই পরিকল্পনাটা খুব কাজে এসেছে। রাজাপক্ষে বা করিমকে পাঠানো হয়েছে আগে...। আমরা যেটা প্রত্যাশা করে পাঠিয়েছিলাম, ওরা সেটা করতে পারেনি। সেটা উইকেটের কারণে হোক, বিপক্ষ দলের ভালো বোলিংয়ের কারণে হোক বা তাদের নিজস্ব ইন্টেন্টের অভাবেই হোক। এ কারণে কিন্তু আমরা পিছিয়ে গেছি। যে শুরু হয়েছিল উদ্বোধনী জুটিতে বা পরে, আমাদের সুযোগ ছিল ১৯০ বা সেই স্কোরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। ওই ব্যাটিং শক্তি কিন্তু আমাদের ড্রেসিং রুমে ছিল, কিন্তু আমরা সেটা ব্যবহার করতে পারিনি। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস