চলতি বছর ভারতে বসতে চলেছে ওয়ানডের বিশ্বকাপের আসর। তাই উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোর জন্য কন্ডিশন এবার একদমই বিপরীত।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে মাত্র দুটো ম্যাচ খেলেই মঈন পেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ। উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি যদিও। ম্যাচ কম খেললেও তার লক্ষ্য ছিল কন্ডিশনের সঙ্গে যতটা সম্ভব মানিয়ে নেওয়া যায়। তার ওপর কিছুদিন পরই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে ইংলিশরা। মঈনের মতে, বিপিএল অভিজ্ঞতা শুধু বাংলাদেশ সিরিজ নয়, বিশ্বকাপেও কাজে আসবে।
গতকাল ফাইনালের পর সাংবাদিকদের এই ইংলিশ অলরাউন্ডার বলেন, ‘এবার আমার বিপিএলে আসার একটা কারণ এই সিরিজ। এখানে আমাদের সিরিজ আছে। সামনে আবার ভারতে বিশ্বকাপও আছে। আমি চাচ্ছিলাম, এ ধরনের কন্ডিশনে বেশি বেশি খেলে অভ্যস্ত হতে। এই খেলাগুলো অবশ্যই আমাদের সাহায্য করবে। ’
উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোর জন্য স্পিনবান্ধব উইকেট সাজায় বিসিবি। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে এমনটাই দেখা গেছে। তবে উইকেটকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না মঈন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য উইকেট অতটা গুরুত্বপূর্ণ না। আমাদেরও ভালো ক্রিকেটার আছে, যারা এ ধরনের কন্ডিশনে খেলেছে, ভালো করেছে। আমরা একসঙ্গে খেলছি অনেক দিন। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। বাংলাদেশ সিরিজে উইকেট যদি বিপিএলের মতো ভালো থাকলেও মানিয়ে নিতে হবে, খারাপ হলেও তা–ই করতে হবে। কারণ আমরাও যথেষ্ট ভালো দল। ’
বিপিএলের উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট মঈন আরও বলেন, ‘আমি এবার মাত্র দুটি ম্যাচের জন্য এসেছি। উইকেট এবার ভালোই মনে হয়েছে। আসলে আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে ভালো উইকেটে খেলেন, তাহলে খেলার মান বাড়ে, ভালো ক্রিকেটারও উঠে আসে। বিপিএলের খেলার মানের জন্য এমন উইকেট খুব জরুরি। ’
এদিকে আগামী পহেলা মার্চ মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। এরপর তিন এপ্রিল একই জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয়টি। ৯ মার্চ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গড়েবে শেষ ওয়ানডে। এখানেই শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
এএইচএস