ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

কুশল বিনিময় ও স্মৃতি রোমন্থনে কাটলো হাথুরুর প্রথম দিন

মাহমুদুল হাসান বাপ্পি. স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
কুশল বিনিময় ও স্মৃতি রোমন্থনে কাটলো হাথুরুর প্রথম দিন

চান্দিকা হাথুরুসিংহে এলেন পরে। তার আগেই ততক্ষণে শেষ সব প্রস্তুতি।

দৌড়ের নিশানা বসানো হয়েছে, ক্রিকেটাররা টুকটাক আলাপও সেরেছেন। জেমি সিডন্স সবাইকে নিয়ে শুরু করেছেন দৌড়। এর মধ্যেই ড্রেসিং রুম হয়ে বেরিয়ে এলেন হাথুরু। তাকে নিয়ে গতরাতে বিমানবন্দরেও আগ্রহ ছিল প্রবল।  

বুম, ক্যামেরার ভিড়ে কালো কাচের গাড়ির জানালা নামিয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে আসতে পেরে ভীষণ খুশি’; শুনিয়েছিলেন মানুষের ভালোবাসার কারণেই ফিরে আসা। মাঝে কেবল এক রাত গেছে, হাথুরুকে নিয়ে আগ্রহ তাই অনুমিতভাবেই কমেনি এতটুকুও। খুব শিগগিরই কমবে, এমন সম্ভাবনাও অবশ্য নেই। ২০১৭ সালে মাঝপথে হেড কোচের দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়া লঙ্কান দুই বছরের চুক্তিতে ফিরেছেন বাংলাদেশে, একই দায়িত্বে।

বিমানবন্দরে তাকে যেমন দেখা গিয়েছিল- সাদা টি শার্ট ও থ্রি কোয়ার্টারে, মঙ্গলবার মিরপুরে তিনি এলেন তেমনভাবেই। সঙ্গী হলো কেবল রোদচশমা। এসেই পেছন থেকে নাজমুল হোসেন শান্তর গায়ে হাত রাখলেন। ফিরে তাকিয়ে শান্ত হয়তো হলেন অবাকই। কুশল বিনিময় করলেন। ছোটখাটো আলাপ হলো তাদের।

এরপর এগিয়ে এলেন তামিম ইকবাল। তার হাতে তখনও হার্ডবোর্ড, এখন ওয়ানডে অধিনায়কত্বও। একে একে কথা বললেন সবার সঙ্গে। এবাদত হোসেনকে দেখেই দিলেন স্যালুট, তার উদযাপন বা বোলিংয়ের খোঁজ যে হাথুরু রেখেছেন; যেন প্রমাণ মিললো তার।

তাইজুলকে দেখেই ‘তোমাকে কত ছোট দেখেছি...’ বলার ভাব করলেন। শ্রীলঙ্কার ছোটখাটো মানুষটিই মঙ্গলবার আলো কাড়লেন ক্যামেরার। মিরপুরে প্রায় অর্ধশত ল্যান্সের গন্তব্য ছিলেন হাথুরু।

পাঁচবছর আগে ছেড়ে যাওয়া সব এখন কেমন আছে, সেসব দেখেই কাটলো হাথুরুর সময়। জাতীয় দলের নতুন হেড কোচের হাতে এমনিতে সময় অল্প। পহেলা মার্চ থেকেই নামতে হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, দুর্দণ্ড প্রতাপে পুরো বিশ্বকে রাজ করছে যারা; দু ফরম্যাটের বিশ্বচ্যাম্পিয়নও, তাদের বিপক্ষে।

উইকেটটা দেখা তাই জরুরি ছিল হাথুরুর জন্য। এসব দায়িত্বে যিনি আছেন, গামিনি ডি সিলভা তার ভীষণ আপন; স্বদেশের কিউরেটরকে দেখে জড়িয়ে ধরলেন। আলাপ করতে করতে এগিয়ে গেলেন উইকেটের কাছে। তার সঙ্গী হলেন তামিম ইকবালও। হাথুরু আগেরবার স্পিন উইকেট বানিয়ে স্বল্প মেয়াদের সাফল্যের পেছনে ছুটেছেন, এবার কী করবেন তা ঠিকঠাক হলো হয়তো।

ওয়ানডে অধিনায়ককে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ উইকেট দেখলেন, কথা বললেন উইকেট নিয়ে। এর মধ্যেই হাজির হলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। বোর্ড পরিচালক, ডেভল্যাপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের পরিচয় ছাপিয়ে হাথুরুর বিশ্বস্ত সঙ্গী সুজন। আগের প্রায় পুরোটা সময় ছিলেন একই সঙ্গে। তাকে দেখেও বুকে টেনে নিলেন হাথুরু। কথা বলেছেন অবশ্য অল্প সময়।

এরপর হাথুরু ছুটেছেন ইনডোরে। সেখানে অনুশীলনের জন্য সব ঠিকঠাক ছিল আগেই। লঙ্কান কোচ গেলেও বেশিক্ষণ থাকলেন না, সুযোগ-সুবিধার খোঁজই হয়তো করতে গিয়েছিলেন। পাশের ইনডোরে কাজ চলছে সংস্কারের। হাথুরু দেখলেন সেটিও।  

এরপর আস্তে আস্তে মাঠ হয়ে ফিরলেন ড্রেসিংরুমে; কতটুকু আড়াল হলেন তা অবশ্য বোঝা গেল না। রোদচশমার আড়ালে লুকিয়ে হাথুরু নিশ্চয়ই দেখেছেন তাকে নিয়ে তুমুল আগ্রহ। আড়ালে অথবা আলাপে তাকে নিয়ে চর্চাও অনুধাবন করা কঠিন নয় তেমন।  

হাথুরু ভালো হবেন নাকি খারাপ? আগেরবার যেমন ছিলেন, তেমনই আছেন? অনেককে নিয়েই তো প্রশ্ন তুলে গিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গেই এখন আবার কাজও করতে হবে, কীভাবে করবেন? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে কাল দুপুর আড়াইটায় শেরে বাংলার সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাজির হতে হবে হাথুরুকে। সেটা নিয়েও তো আগ্রহ কম না!

বাংলাদেশ সময় : ১৫৫৬ ঘণ্টা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।