আগের ম্যাচে ২৪০ রান করেও জয়ী দলের খাতায় নাম লেখাতে পারেনি পেশোয়ার জালমি। জেসন রয়ের দানবীয় ইনিংসের কাছে ম্লান হয়ে যায় বাবর আজমের সেঞ্চুরি।
অন্যদিকে রুশো জন্ম দেন পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ইতিহাসে দ্রুততম ফিফটি ও সেঞ্চুরি। ১৭ বলে ফিফটি করার পর ৪১ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান এই প্রোটিয়া ব্যাটার। যদিও মুলতানের জয় দেখার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। ৫১ বলে ১২ চার ও ৮ ছক্কায় ১২১ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন তিনি।
৪৮৬ রানের ম্যাচ পিএসএলে এর আগে কখনো হয়নি। এর মধ্যে ৩৫৬ রানই এসেছে শুধুমাত্র চার-ছক্কা থেকে। পিএসএল কেন এশিয়ার মাটিতেই এমন রানপ্রসবা ম্যাচের দেখা মিলেনি।
রাওয়ালপিন্ডিতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৪২ রান দাঁড় করায় পেশোয়ার। সায়েম আইয়ুব ৩৩ বলে ৫৮, বাবর আজম ৩৯ বলে ৭৩, মোহাম্মদ হারিস ১১ বলে ৩৫ ও টিম কোহলার-ক্যাডমোর ১৮ বলে ৩৮ রান করেন। জবাব দিতে নেমে ২৮ রানের ভেতরই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে মুলতান। কিন্তু এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তৃতীয় উইকেটে কাইরন পোলার্ডের (৫২) সঙ্গে ৯৯ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন রুশো। শেষ ওভারে প্রথম বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন উসামা মীর। মুলতানের রান তখন ৬ উইকেটে ২৪৪।
এই জয়ে প্লে-অফে যাওয়ার পথ সুগম করল মুলতান। ৯ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে তারা। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে পেশোয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
এএইচএস