ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

প্লেয়ার্স ট্রিবিউন থেকে

স্টোকসের মন্ত্র— ভয় করবো না, বিনোদন দেবো

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৭ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
স্টোকসের মন্ত্র— ভয় করবো না, বিনোদন দেবো

বেন স্টোকস- নামের সঙ্গে আপনার স্মৃতিতে সম্ভবত ভর করেছে রোমাঞ্চও। হয়তো বিশ্বকাপ ফাইনাল, হয়তো হেডিংলি রুপকথা নামের অবিশ্বাস্য ওই ইনিংস।

অথবা ‘বাজবল’ তত্ত্ব। হয়তো আপনি মুখিয়ে আগামী গ্রীষ্ম ও অ্যাশেজ নিয়ে। স্টোকস এর আগে তার সমর্থকদের ও পুরো পৃথিবীকে একটা কথা দিয়েছেন- ভয় করবো না, আপনাদের বিনোদন দেবো। প্লেয়ার্স ট্রিবিউনে তার নামে ছাপা হওয়া লেখায় স্টোকস বলেছেন আরও অনেক কিছু। বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য সেটির অনুবাদ করেছেন মাহমুদুল হাসান বাপ্পি...
 
আমি আসলে নেতিবাচক সুর দিয়ে শুরু করতে চাচ্ছিলাম না, কিন্তু ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আমার একটা চাওয়া আছে আপনাদের কাছে। বিশেষত অ্যাশেজকে সামনে রেখে কোচ, ক্লাবের অধিনায়ক, ধারাভাষ্যকার, সমর্থক ও যারা ক্রিকেট দেখেন এমন সবার কাছেই এই চাওয়া।  

‘এটা খুব বাজে শট’ আমরা কি এমন বলা বন্ধ করতে পারি?

আমি জানি সবাই কেন এমন বলি। ক্রিকেট কখনো কখনো কিছুটা রহস্যময়। এটা খুব জটিল খেলা হতে পারে। সবকিছুর নজর থাকে কীভাবে আউট হচ্ছে তাতে, তাই না? সবকিছুই ঠিক করা হয় আউটকামটা কী আসছে সেটার ওপর নির্ভর করে। যদি কোনো ব্যাটার বড় শট খেলার চেষ্টা করে, তারপর সেটা ঠিকঠাক না হয় আর আউট হয়ে যায়; তখন বলা সহজ যে শটটা বাজে ছিল।  

আমি এমন অনেক শুনেছি-

‘ওহ! বাজে শট। সে এটা কী করলো?’ অথবা ‘বাজে শট, ওটা। ’ কিন্তু আমি তখন ভাবতাম, আসলেই কী তাই? সত্যিই বাজে শট?
শট নির্বাচন কেবল তখনই বাজে হয়, যখন কেউ আউট হয়ে যায়। আপনি হয়তো একই শট অন্য বলে চেষ্টা করবেন, ঠিকঠাক ব্যাটে লেগে চার বা ছক্কা হলো; কেউ আপনাকে কিচ্ছু বলবে না তখন। এটা তখনই বাজে শট হবে যখন আউট হয়ে যাবেন।
 
ভুল করা অথবা আউট হয়ে যাওয়ার চিন্তা একটা নেতিবাচক মানসিকতা তৈরি করে। এটা ভয় তৈরি করে। ক্রিকেটার হিসেবে এমন কিছু আপনাকে দ্বিধায় ফেলতে পারে। যাই হোক এটা আসলে আমার গলাবাজি...কিন্তু মূল পয়েন্টটা হচ্ছে ইংল্যান্ড টেস্ট দলে আমরা যে কাজটা করতে যাচ্ছি।
 
আমরা চেষ্টা করছি এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে যেখানে সবাই স্বাধীনভাবে কিছু একটা চেষ্টা করতে পারবে, কোনো রকম ভয় ছাড়াই। জানি সবসময় এসব একই পথে যায় না, এমনকি আমাদের দক্ষতা থাকার পরও। তবে আমরা চাই ছেলেরা এই স্বচ্ছতা ও আত্মবিশ্বাস আমাদের কাছ থেকে পাবে- আমরা তোমাকে নিয়েছি কারণে তোমার কাজে তুমি দেশের সেরা। কোনো কিছু আটকে রাখার দরকার নেই। নিজেকে মেলে ধরো। আমাদের দেখাও তুমি সত্যিই কী করতে পারো। যদি ব্যর্থ হও, হয়েছো! তাতে কী হয়েছে?

বড় শট খেলার জন্য অধিনায়ক হিসেবে আমি গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বা মিডিয়ার সামনে কাউকে দায়ী করবো না। পর্দার পেছনেও আমার বা ম্যাককালামের কাছ থেকে তুমি কোনো নিন্দা পাবে না। মূল কথা হচ্ছে, সবাই ব্যর্থ হয়, তুমিও হতে পারো। তুমি যেমন চাও, গিয়ে তেমন ব্যাটিংই করো। স্রেফ অ্যাশেজ বলে এটা বদলানোর দরকার নেই।  

এরপরও আমরা এগিয়ে যাবো, ঘুমাবো, পরের দিন জেগে উঠবো, আশা করি তখন সূর্যটা জ্বলজ্বল করবে। এরপর আমরা আবারও চেষ্টা করবো।  

দেখুন, এ ব্যাপারে একটু সচেতন করাটাও দরকার কারণ আমি চাই কথাগুলো যেন ভিন্নভাবে না নেওয়া হয়। ব্যর্থ হলে কিছু হবে না বলছি বারবার, এটার মানে কিন্তু এমন না যে হেরে গেলেও সমস্যা নেই। আমি হেরে যাওয়াকে ঘৃণাকে করি, এই দলের সবাইও। আমরা সবাই সবকিছু জিততে চাই, কিন্তু এখানে একটা বড় ছবিও আছে। আপনাকে এটা বুঝতে হবে- সফল হওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে সত্যিকার অর্থেই ছুটে চলার স্বাধীনতা দেওয়া।  

আর হ্যাঁ, যখন আপনি ক্রিজে যাবেন, নার্ভাস থাকাটা স্বাভাবিক। যদি তা না থাকেন, তাহলে হয়তো আপনি যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
ব্যাপারটা হচ্ছে এখন যা হচ্ছে তা নিয়ে ভয় না পাওয়া আর দেখানো যে আপনি অনুপ্রাণিত কিছু করার জন্য।  

এটার মানে হলো, আপনার এমন মানসিকতা আছে যেখানে কোনো কিছুই আপনার আওতার বাইরে যাবে না। আমাদের ভেতর ওই বিশ্বাস আছে যে কোনো লক্ষ্য বা চ্যালেঞ্জ নেই যেটার পেছনে আমরা ছুটতে ও টপকে যেতে পারবো না। এটাই বোঝায় আমার নেতৃত্বে কোন দর্শনটা আমরা গড়ার চেষ্টা করছি।
 
নেতা হিসেবে, আমি কাগজ-কলমে খুব বেশি সময় দেই না। আর সত্যি বলতে ড্রেসিং রুমেও লম্বা সময় কথা বলি না। আমি অনেকটা এরকম, ‘চলো ছেলেরা, এটা করে ফেলে যাক। চলো উদাহরণ তৈরি করি। ’ তবে আমি পরিষ্কারভাবে জানি কী করার চেষ্টা করতে যাচ্ছি, তাতে ঝুঁকি কেমন; এটা আমার বা মাঠে নিজস্ব লক্ষ্যের চেয়ে বড় কিছু।  

ব্যাপারটা হচ্ছে পরের প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগানোর। এমন না কেবল বাচ্চাদেরই, যারা পরের পর্যায়ে খেলতে আসবে অথবা এখনই চলে এসেছে; অথবা যারা তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দোরগোড়ায় আছে।  

ল্যান্ডস্ক্যাপ বদলে যাচ্ছে। খেলা হিসেবে ক্রিকেট অনেক বিবর্তিত হয়েছে। আগে যেমন ছিল, তার চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে বদলাচ্ছে। টি-টোয়েন্টির মতো ফরম্যাট, হান্ড্রেড বা ওয়ানডেতেও অনেক বেশি অর্থ বা সুযোগ আছে ক্রিকেটারদের জন্য। এমনকি ১৫ বছর আগেও এমন কিছু ছিল না।  

যখন আমি বেড়ে উঠেছি দেশের হয়ে টেস্ট খেলার চেয়ে মর্যাদার কিছু ছিল না- আমি অবশ্য এখনও তেমনই বিশ্বাস করি, কিন্তু আমি তো বোকা না। ক্রিকেটারদের ছোট একটা ক্যারিয়ার, তাদের ও পরিবারের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য কোন পথে যাবে এ ব্যাপারে  সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এটাই স্বাভাবিক।  

আমি সত্যিই চাই পুরো পৃথিবীর বোর্ডগুলো এতে নজর দিক। তবে এটার বিরুদ্ধে লড়াই না করে আমাদের বরং নিজের করে নেওয়া উচিত। হ্যাঁ, হয়তো আমরা কিছু প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে হারিয়ে ফেলবো। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখতে এমন কিছু করা দরকার, যেটা ক্রিকেটারদের রোমাঞ্চিত ও অনুপ্রাণিত করবে এই ফরম্যাটে।  

আমরা এমন এক ড্রেসিং রুম তৈরি করতে চাই যেখানে থাকাটা হবে আনন্দের। আমাদের ক্রিকেটারদের- বিশেষত ব্যাটারদের এমন স্বাধীনতা দিতে চাই, যেটা হয়তো তারা কখনোই পায়নি। এমন কিছু ক্রিকেটারদের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। অধিনায়ক কিসেবে আমার জন্য খুব আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে যখন আমি কাউন্টির অনেকের কাছ থেকে ফোন পাই, তারা বলে, ‘আমাকে বলো, কী করলে সুযোগ পাবো?’

এরপর আমি যখন দলে আসা নতুন ছেলেদের সঙ্গে কথা বলি আর তারা বলে ডাক পাওয়ার জন্য কতটা মরিয়া ছিল। যেন তারা দলের ভেতরে এসে এই গ্রুপের অংশ হওয়া কেমন তার অভিজ্ঞতা নিতে পারে, বাইরে থেকে এটাকে খুবই মজার মনে হয় তাদের কাছে।  
ব্রেন্ডনকে (ম্যাককালাম) আমার কৃতিত্ব দিতেই হবে কারণ হেড কোচ হিসেবে তার দর্শন হচ্ছে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা যেন সবাই দল হতে চায়। ব্রেন্ডন সবসময় বলে, ‘আমরা এখানে এসেছি স্মৃতি তৈরি করতে, কারণ তুমি এখানে বেশি দিন থাকবে না। ’ দিনশেষে এটাই আসল ব্যাপার।  

আমরা চাই এসবের সঙ্গে যুক্ত ক্রিকেটাররা, সমর্থকরা সবাই উপভোগ করুক। আমাদের তত্ত্বে এটা সবার উপরে। হ্যাঁ, ক্রিকেট একটা খেলা, এটা সিরিয়াস কিছুও, এখানে অনেক কঠোর পরিশ্রমের ব্যাপার আছে কিন্তু একই সঙ্গে এটা একটা বিনোদনও।
 
হাজার হাজার মানুষ মাঠে এসে ও দুনিয়াজুড়ে লাখ লাখ মানুষ টেস্ট ম্যাচ দেখে কারণ তারা বিনোদন পেতে চায়। অবশ্যই আমরা জিততে চাই। কিন্তু আমাদের কাছে এটাও জরুরি, যে-ই টাকা খরচ করে ইংল্যান্ডের খেলা দেখতে আসবে- তারা যেন মাঠ ছাড়ার সময় বলতে পারে, ‘ওয়াও! কী দুর্দান্ত একটা দিন কাটলো!’

আমি দেখেছি দর্শকদের জেগে উঠার ওই মুহূর্তগুলো কেমন হয়। এমন কিছু তৈরি করে, যা ক্রিকেটের বাইরে চলে যায় আসলে। '০৫ সালে ফ্লিনটপ, '৮১ তে বোথাম- এমন জাদুকরি মুহূর্ত মানুষের কল্পনায় আটকে থাকে। এটাও দেখায় ক্রিকেট আদতে কেমন। এসব মুহূর্ত এমন মানুষকেও বসিয়ে রাখে, যারা হয়তো ক্রিকেটে তেমন আগ্রহী নয় কারণ ব্যাপারগুলো এতটাই রোমাঞ্চকর। আপনার মনে হবে এমন কিছু দেখছেন, যেটা জীবনে আর কখনো নাও দেখতে পারেন। এটা বিশুদ্ধ ক্রিকেট, এটাই অ্যাশেজ।  

আমি যখন অবসর নেবো, আমি জানি আমার ক্যারিয়ারের ২০১৯ এর হেডিংলির ম্যাচটার কথা মানুষ আমাকে বলে যাবে। যদি আপনি ভুলে গিয়ে থাকেন, তাহলে মনে করিয়ে দেই, সিরিজে আমরা তখন ২-০তে পিছিয়ে ছিলাম। ইংল্যান্ডকে অ্যাশেজে টিকিয়ে রাখতে তৃতীয় টেস্টে আমরা ৩৫৯ রান তাড়া করতে নেমেছিলাম। এটা ছিল রেকর্ড রান তাড়া।  

কীভাবে মানুষ পাব্লিক প্লেসে পর্দার সামনে গিয়ে জড়ো হয়েছে- ওই ভিডিও আমি দেখেছি। প্রায় অসম্ভব এই প্রত্যাবর্তন তারা দেখেছে আর উদযাপন করেছে একসঙ্গে।

আমার মনে আছে একটা ভিডিও দেখেছিলাম টটেনহ্যামের নতুন স্টেডিয়ামের- এটা হয়তো কোনো বারই হবে। সব সমর্থকরা- কয়েক শ বা হাজার হবে- ক্রিকেটে এতটাই আটকে গিয়েছিল যে ফুটবল ম্যাচ দেখতে যাচ্ছিল না। ওই মুহূর্তটা মানুষের পথ থমকে দিয়েছিল। পুরো দেশের কাছ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া দেখা ছিল অসাধারণ ব্যাপার। এটার অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।

ওই মুহূর্তে, আমার জন্য ওই ইনিংসে এগিয়ে যাওয়ার একটা পথই ছিল। আমি কখনোই আমার ব্যাটিংয়ের ধরণ বদলানো বা নিরাপদে খেলার কথা ভাবিনি। কারণ একটা নির্দিষ্ট ধরনে খেলেই শুরুতে আমরা ম্যাচে ফিরেছি। মনে আছে লিচ আসার পর থেকে আমি স্কোরবোর্ডে গোণা শুরু করেছিলাম, কখন এক অঙ্কে আসে দেখছিলাম। এমনকি অস্ট্রেলিয়া যখন নাথান লায়ানের মতো অফ স্পিনার নিয়ে এলো, তখনও আমি জানতাম আমাকে এভাবেই চালিয়ে যেতে হবে এক বা দুই নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বদলে।  

যখন আমি ওই ছক্কাটা মারলাম, আর দুইয়ে চলে এলো রান..ওহ! আমি বলকে যেন ফুঁ দিয়ে বাউন্ডারি পাড় করাতে চাচ্ছিলাম। পরে সত্যিই ফিল্ডারের আঙুল ছুঁয়ে গেছে। ওই ইনিংসে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্ত ছিল, হয়তো ম্যাচের দিকও বদলে যেতে পারতো; কিন্তু আমার মাথায় অন্য কোনো বিকল্প ছিল না। যদি শেষে পৌঁছাতে হয়, তাহলে আমার মতো করেই যেতে হবে, কোনো ভয় ছাড়া।

যখন ম্যাচ শেষ হলো, আমরা সবাই যেন পাগল তখন, রীতিমতো বাচ্চা হয়ে গিয়েছিলাম সেদিন। দৌড়াচ্ছিলাম, সমর্থকদের মতো করে উদযাপন করছিলাম। ড্রেসিং রুমে আমাদের দারুণ সময় কেটেছিল দল হিসেবে, এটার শেষ হয়েছিল বড় ট্যাক্সিতে করে ম্যাকডোনাল্ডসে গিয়ে। প্রায় ২০০ পাউন্ডের বার্গার ও চিপস অর্ডার করেছিলাম। রুট বিল দিয়েছিল- আমার মনে হয় ইয়র্কশায়ারের লোকজন যে কিপটে, এই কথা মিথ্যা প্রমাণ করতে চেয়েছিল ও!

ওই দিনের পুরো স্মৃতি আমি বুড়ো বয়সের জন্য জমিয়ে রেখেছি, যখন আমি অবসর নেবো, দুটো হাঁটু থাকবে...কিন্তু এখন আমার মনোযোগ বর্তমানে, এই গ্রীষ্মে।  

আমরা জানি অ্যাশেজ অনেক বড় ব্যাপার। এটা এলিট। সাধারণ ক্রিকেট প্রেমিদের বাইরেও অনেক বড় কিছু। পুরো দুনিয়ার মানুষ অ্যাশেজের ইতিহাস ও অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের কাছে এটার মানে কী; এসব জানে।

অ্যাশেজ অন্য কোনো সিরিজের মতো নয়। এখানে চাপ আছে। হাইপ তৈরি হয়, বাড়তি কথাবার্তাও চলে আসে। কিন্তু এই গ্রীষ্মে সবকিছুর জন্য আমরা প্রস্তুত। গত বছর আমাদের কিছু ভালো ফল এসেছে, দলের মানসিকতাও খুব শক্তিশালী। আমরা যা করছি, সবাই তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা জানি কতটা ভালো- নিজেদের ভালো দিনে আমরা অন্য কারো ভালো দিনকে হারাতে পারি।  

আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি-

আমরা ভয় ছাড়া খেলবো। নিজেদের উজার করে দেবো। আর আমরা তৈরি করবো কিছু স্মৃতি।  

আশা করি, ফল এমন হবে যেন আমরা অ্যাশেজ ফেরাতে পারি। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে- যাই হোক না কেন, আপনারা বিনোদিত হবেন।

বাংলাদেশ সময় : ১১২৫ ঘণ্টা, ১০ জুন, ২০২৩
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।