অস্ট্রেলিয়ার সেই পুরোনো রূপ যেন ফিরে এলো। টানা দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে বরাবরই ভালোবাসেন ওয়ার্নার। এনিয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। ৩১তম ওভারে মোহাম্মদ নাওয়াজ বলে সিঙ্গেল নিয়েই স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তার ২১তম সেঞ্চুরি। কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টানা সেঞ্চুরি করার রেকর্ডে বিরাট কোহলিকে ছুঁয়েছেন তিনি। ২০১৭-১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ৪ সেঞ্চুরি হাঁকান কোহলি।
ওয়ার্নার সেঞ্চুরি পাওয়ার ঠিক পরের বলেই সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্শও। ৩২তম জন্মদিনটা কী দুর্দান্তভাবেই না রাঙালেন ডানহাতি এই ওপেনার। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করতে খরচ করেছেন ১০০ বল। বিশ্বকাপের মঞ্চে জন্মদিনে সেঞ্চুরি করার ঘটনা ঘটল দ্বিতীয়বার। ২০১১ বিশ্বকাপে ২৭তম জন্মদিনে সেঞ্চুরি করেন সাবেক নিউজিল্যান্ড ব্যাটার রস টেলর। সেদিনও প্রতিপক্ষ দল হিসেবে নাম ছিল পাকিস্তানেরই।
ওয়ার্নার-মার্শের সামনে হাতছানি দিচ্ছিলএকটি রেকর্ড। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উদ্বোধনী রেকর্ডটি সাবেক লঙ্কান ওপেনার তিলকরত্নে দিলশান ও উপুল থারাঙ্গার দখলে। ২০১১ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮২ রান তুলেছিলেন তারা। সেই রেকর্ড ভাঙার খুব কাছেই ছিলেন ওয়ার্নার-মার্শ। কিন্তু ২৫৯ রানের সেই জুটি ভাঙেন শাহিন আফ্রিদি। ১০৮ বলে ১০ চার ও ৯ ছক্কায় ১২১ রান করে আউট হন মার্শ। অন্যদিকে ওয়ার্নার ব্যাট করছেন ১২৪ রানে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৩
এএইচএস