ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৩১ মে ২০২৪, ২২ জিলকদ ১৪৪৫

ক্রিকেট

ঘুরে দাঁড়িয়ে জিম্বাবুয়ের ১২৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৪
ঘুরে দাঁড়িয়ে জিম্বাবুয়ের ১২৪

৪১ রানেই জিম্বাবুয়ের নেই ৭ উইকেট। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির সিরিজে বাংলাদেশের দাপটে দিশেহারা হয়ে গেলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা।

দলটির চার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ফিরলেন শূন্যতে। তবে ক্লিভে মাদানদে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার জুটিতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।  

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। শুরুতে ব্যাট করে এদিন বাংলাদেশের সামনে সব উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে সফরকারীরা।  

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা এতটাও মন্দ হয়নি জিম্বাবুয়ের জন্য। যদিও দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। দুই বলে কোনো রান করার আগেই মাহেদী হাসানের বলে বোল্ড হন ক্রেইগ আরভিন। তবে আরেক প্রান্তে ব্রায়ান বেনেট ভরসা যোগাচ্ছিলেন।  

৪ ওভার শেষে দলটির ৩১ রান ছিল। কিন্তু তাদের হুট করে খেই হারানোর শুরু হয় পঞ্চম ওভারের শেষ বলে। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা সাইফউদ্দিন নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পান। ৪ চারে ১৪ বলে ১৭ রান করে আউট হন জয়লর্ড গাম্বি। ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে দাঁড়ানো তাসকিনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।  

মাহেদীর করা পরের ওভারের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। প্রথমটি ছিল রান আউট। শন উইলিয়ামসের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে আউট হন ব্রায়ান বেনেট। ৩ চারে ১৫ বলে ১৬ রান করেছিলেন তিনি। উইকেটে এসে জিম্বাবুয়ের বড় ভরসা সিকান্দার রাজা ফিরে যান প্রথম বলেই।  

মাহেদীর বলে প্যাডেল সুইপ করতে গেলে রাজার গ্লাভসে লেগে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে। রিভিউ নিলেও সিদ্ধান্ত বদলায়নি। তিন বলে তিন উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে আরও বেশি চাপে ফেলে দেন তাসকিন আহমেদ।  

পাওয়ার প্লের ঠিক পরের ওভারে এসে শেন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। প্রথমে বোল্ড হন উইলিয়ামস। পরের বলে পয়েন্টে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন বার্ল। দুজনেই আউট হন প্রথম বলে, শূন্য রানে। পরের ওভারে এসে ৬ বলে ২ রান করা লুক জংয়েকে আউট করেন সাইফউদ্দিন।  

৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর জিম্বাবুয়ে আর কত রান করতে পারবে- এটাই ছিল প্রশ্ন। কিন্তু দলটির মূল লড়াই শুরু হয় ওখান থেকেই। ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিভে মাদানদে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন। শুরুতে তারা ধীরস্থিরভাবেই খেলছিলেন। কিন্তু শেষদিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা।  

শরিফুলের করা ১৭তম ওভারে ১১ ও রিশাদ হোসেনের করা পরের ওভারে ১৬ রান নেন মাসাকাদজা ও মাদানদে। এরপর ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনকেও ছক্কা হাঁকান মাসাকাদজা। এক বল পরই অবশ্য তার সঙ্গী মাদানদেকে বোল্ড করেন তাসকিন।  

তার ইয়র্কার মাদানদের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি ভেঙে যায় এতে। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন মাদানদে। তার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের রান হয়নি খুব একটা। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা। বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। সমান ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান সাইফউদ্দিনও।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।