মাত্র দুজন ক্রিকেটারেরই আছে এমন কীর্তি- সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই খেলেছেন তারা। ভারতের রোহিত শর্মা আর বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের অষ্টম বিশ্বকাপে মাঠে নামলে হয়ে যাবেন একটা জায়গায় বাকিদের চেয়ে আলাদা।
বিসিবির প্রকাশিত ‘গ্রিন এন্ড রেড স্টোরির’ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আরও একটি বিশ্বকাপ খেলার আশার কথা। ৩৭ বছর বয়সে এবারই তার শেষ দেখছিলেন অনেকে। সাকিবও আগে দিয়েছিলেন তেমন ইঙ্গিত। তবে এবার তাতে কিছুটা বদল এনেছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।
তিনি বলেন, ‘যখন শুরু করেছি ক্রিকেট খেলাটা, (ভাবিনি) এতদিন খেলতে পারবো প্রথমত। দ্বিতীয়ত, প্রথম বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত যতগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলো, সবগুলোতেই অংশ নিতে পারছি। আমার জন্য এটা গর্বের এবং আনন্দের। একই সঙ্গে যেহেতু দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি, অনেক ভালো লাগার একটা জায়গা আছে। ’
‘আমি আর রোহিত শর্মা হয়তো দুজন খেলোয়াড় যারা এই সবগুলো বিশ্বকাপে খেলতে পেরেছে। আশা করবো যে আরও একটা বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে যেন পারফরম্যান্সটা ভালো থাকে, বাংলাদেশ যেন অন্যান্য যেকোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থেকে ভালো ফল করে আসতে পারে। ’
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি শুরু হয়েছিল ‘ফান ক্রিকেট’ হিসেবে। এখন খেলার এই ধরনটা ছড়িয়ে পড়েছে বেশ। সাকিব আল হাসানও দুনিয়াজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি খেলে বেড়িয়েছেন। সবমিলিয়ে চারশর বেশি টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমেছেন। কীভাবে বদলে যেতে দেখেছেন ফরম্যাটটাকে?
সাকিব বলেন, ‘পরিবর্তনটা দেখি, আমার কাছে মনে হয় ওয়ানডেরই এক্সটেন্ডেড ভার্শন এটা। হয়তো কার্টেল ওভার হলে যেটা হতো সেটাই হয়। অনেক রোমাঞ্চকর, দর্শকরা অনেক পছন্দ করে খেলাটাকে। আমি একটা জিনিসই শুধু ফিল করি, ব্যাট আর বলের যেন সমান কম্পিটিশন এখানে থাকে। যেকোনো এক তরফা যেন টুর্নামেন্টটা না হয়। সাধারণত বিশ্বকাপে কখনোই সেটা হয় না। আমি মনে করি এবারও একই রকম হবে। ’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সাকিবের পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই বাস করেন নিউইয়র্কে। সাকিবের কাছে যুক্তরাষ্ট্র তাই আরেকটি ঠিকানা। তার ‘হোমে’ বাংলাদেশ বিশ্বকাপ কতটা সুবিধা পাবে? প্রশ্ন ছিল সাকিবের কাছে।
তিনি বলেন, ‘আমার সেকেন্ড হোম সেটা ঠিক আছে। হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে কি না বলাটা মুশকিল। কিন্তু আমার মনে হয় পাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায় দুইটা জায়গায়ই। এর আগে যখন আমরা ফ্লোরিডায় খেলেছি, ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও আমরা সবসময়ই ফেভার পাই। কারণ ওই দেশের পিচগুলো অনেকটা আমাদের দেশের মতোই হয়ে থাকে। ’
বাংলাদেশ সময় : ০৯১৯ ঘণ্টা, ৩১ মে, ২০২৪
এমএইচবি