তারকাখ্যাতি তিনি পাননি, তবু খুব একটা অপরিচিতও নন। তবে ফর্মহীনতার কারণে নিউজিল্যান্ড দলে খেলার দরজা বন্ধ হয়ে যায় তার জন্য।
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আজ পর্দা উঠেছে বিশ্বকাপের নবম আসরের। স্বাগতিকদের একাদশে থেকেই অ্যান্ডারসন নাম লিখিয়েছেন বিরল এক ক্লাবে। দুই দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন, এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা আগে ছিল ৪ জন। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হলেন অ্যান্ডারসন।
বিরল এই ক্লাবের দরজাটি খুলেছিলেন ডার্ক ন্যানেস। সাবেক এই পেসার ২০০৯ বিশ্বকাপে খেলেন নেদারল্যান্ডসের হয়ে। পরের বছর পরবর্তী আসরেই অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে খেলতে দেখা যায় তাকে। মেলবোর্নে জন্ম নিলেও তার বাবা-মা ডাচ বংশোদ্ভূত। তাই ডাচ পাসপোর্টটি ফেলে না রেখে তা কাজে লাগান ক্রিকেটের ক্ষেত্রে।
২০০৯ বিশ্বকাপে ২ ম্যাচ খেলে কেবল দুই উইকেট নিয়েছেন ন্যানেস। তবে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে জ্বলে ওঠেন এই পেসার। ২০১০ বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে হন দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। কিন্তু ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া হারায় ভেস্তে যায় তার পরিশ্রম।
ন্যানেসের উত্তরসূরি হিসেবে এরপর পা রাখেন রুলফ ফন ডার মারওয়ে। অভিজ্ঞ এই স্পিনার অবশ্য এবার নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই। তবে ডাচদের হয়ে ইতোমধ্যেই তিনটি বিশ্বকাপ (২০১৬, ২০২১, ২০২২) খেলে ফেলেছেন তিনি। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেছেন ২০০৯ ও ২০১০ বিশ্বকাপ। মোট পাঁচটি ২১ ম্যাচ খেলে কেবল ১৬টি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার।
হংকংয়ে জন্ম নিলেও বাবার দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের পাসপোর্ট আছে মার্ক চ্যাপম্যানের। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার শুরুটা হংকংয়ের মাধ্যমেই। খেলেছেন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৪ বিশ্বকাপেও। সেবার বাংলাদেশকে হারিয়েও দিয়েছিল হংকং। ২০১৬ বিশ্বকাপেও একই জার্সিতে দেখা যায় চ্যাপম্যানকে। পরে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেই কিউইদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।
কিংবদন্তি জ্যাক ক্যালিসের ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার পর তার জায়গা পূরণে নতুন অলরাউন্ডার খুঁজছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ডেভিড ভিসে ছিলেন এর অন্যতম দাবিদার। তবে ক্যালিসের অভাব তো দূরের কথা তার ধারে কাছেও যেতে পারেননি ভিসে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন একটি। কিন্তু গত দুই আসরে নামিবিয়ার হয়ে খেলেছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ২০২১ বিশ্বকাপে তিনটিতে জয় পায় নামিবিয়া। এর দুটিতে নায়ক ছিলেন ভিসা।
সেই বাকি চারজনের থেকে অ্যান্ডারসন অবশ্য আলাদা। বংশগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না তার। এক সময় ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া এই অলরাউন্ডার নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট ছাড়েন ২০২০ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলার অনুমতি পেতে ৩ বছর অপেক্ষা করতে হয় তাকে। এরপর গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিতে অভিষেক হয় তার। খেলেছেন সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেও।
এদিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৫০ রান তুলে ফেলেছে কানাডা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০২ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২৪
এএইচএস/এমএইচএম