এমন একটি ম্যাচের পর স্বাভাবিকভাবে মাঠে নিয়েই আলোচনাটা বেশি হবে। অসম বাউন্সে ব্যাট চালানোই যেন এখানে বেশ মুশকিলের কাজ।
আগ্রাসী ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও মাত্র ৭৮ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে ১৬.২ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ২২ বল হাতে রেখে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তারা। এমন উইকেটে রান তাড়ার কাজটা সহজ ছিল না প্রোটিয়াদের। ছোট, ছোট সুইং ও অতিরিক্ত বাউন্সের ফায়দা নিতে থাকে লঙ্কান বোলাররাও। দলীয় ১০ রানে রিজা হেনড্রিকসকে সাজঘরে ফেরান নুয়ান থুশারা। পাওয়ার প্লের ভেতর অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম (১২) শিকার হন দাসুন শানাকার।
কুইন্টন ডি কক (২০) ও ট্রিস্টান স্টাবস (১৩) কিছুটা থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরপর দুওভারে তাদের দুজনকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে সেটা ক্ষণিকের জন্যই। ডেভিড মিলারকে (৬*) সঙ্গে নিয়ে বাকিটা পথ নির্বিঘ্নেই পাড়ি দেন হাইনরিখ ক্লাসেন। ২২ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
পাঁচ মাসে তৈরি হওয়া নিউইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ৮৬ রান।
টস হারায় একদমই আফসোসে পুড়েননি দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। উইকেটের ধরন বুঝে নিয়ে আগে বোলিংই নিতে চেয়েছিলেন তিনি। লঙ্কানরা যে মস্ত বড় ভুল করেছে তার প্রমাণ হাতেনাতেই দিয়ে দেয় প্রোটিয়া বোলাররা।
ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেন ওটনিল বার্টম্যান। বিশ্বকাপে প্রথমবার বল হাতে নিয়েই উইকেটের দেখা পান এই পেসার। থার্ডম্যানে থাকা হাইনরিখ ক্লাসেনের ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান পাথুম নিশাঙ্কা। লঙ্কান ব্যাটাররা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যেই। থিতু হওয়ার সুযোগই দেওয়া হয়নি কাউকে। দুই অংক ছুঁতে পেরেছেন কেবল কুশল মেন্ডিস (১৯), কামিন্দু মেন্ডিস (১১) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (১৬)। তিনজনই ফেরেন আনরিখ নরকিয়ার শিকার হয়ে। ডানহাতি এই পেসার ৪ ওভারে কেবল ৭ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে হন ম্যাচসেরা। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ৪ ওভারের স্পেলে এর চেয়ে কম রান খরচ করেননি কোনো বোলার।
নবম ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন কেশভ মহারাজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি এই স্পিনার। তার মতো দুই উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদাও। বোলারদের মধ্যে কেবল ইনিংসের সূচনা করতে আসা মার্কো ইয়ানসেনই উইকেট পাননি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
এএইচএস