ভারতীয় বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে অল্প রানেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ব্যাট হাতে আলো ছড়ান রোহিত শর্মা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম ম্যাচে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। আগে ব্যাট করতে নেমে ১৬ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান সংগ্রহ করে আইরিশরা। যেটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। আগেরটিতে ২০১০ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৮ রানে অলআউট হয় তারা। রান তাড়ায় নেমে ০০ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ভারত।
প্রথম দুই ওভার দেখে-শুনে খেললেও তৃতীয় ওভারে পতন শুরু হয় আয়ারল্যান্ডের। প্রথম বলেই আর্শদ্বীপের করা ডেলিভারি স্টার্লিংয়ের ব্যাটে লেগে পেছন দিয়ে উঠে যায় উপরে। সহজেই তা তালুবন্দি করে আইরিশ ওপেনারকে ২ রানে বিদায় করেন পন্থ। শেষ বলে আর্শদ্বীপ বোল্ড করে বিদায় করেন আরেক ওপেনার বালবির্নিকে।
দুই ওপেনারের পতনে শুরু হয় আইরিশদের নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়া। তিনে নামা লর্কান টাকার পান্ডিয়ার বলে বোল্ড হয়ে ১০ রানে বিলিয়ে দেন উইকেট। চারে নামা হ্যারি টেক্টর ৪ রানে শিকার হন বুমরাহর। কার্টিস ক্যাম্পার কিছুক্ষণ প্রতিরোধ গড়েন। তবে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর দ্রুতই বাকিরা উইকেট হারাতে থাকে। কিন্তু শেষদিকে এসে তাণ্ডব চালান গ্যারেথ ডেলানি। যদিও ফ্রি-হিট বলে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হতে হয় তাকে। তবে যাওয়ার আগে খেলে যান ১৬ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ১৬ রানের ইনিংস।
ভারতের হয়ে ৪ ওভারে ২৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। দুটি করে উইকেট নেন আর্শদ্বীপ ও বুমরাহ। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মেদ সিরাজ ও অক্ষর প্যাটেল।
রান তাড়ায় নেমে ঠাণ্ডা মাথায় খেলতে থাকেন রোহিত শর্মা। যদিও বিরাট কোহলি ফেরেন ১ রানে। তবে রিশভ পন্থকে নিয়ে বাকিটা কাজটা এগিয়ে নেন ভারতীয় অধিনায়ক। ৩৬ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করে তিনি রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ৩৭ বলে তার ৫২ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। এরপর দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন পন্থ। ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৪ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২৪
আরইউ