পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রচণ্ড চাপে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেখান থেকে প্রোটিয়াদের টেনে তুলেছেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিল মিলার।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯০ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ ডি-এর ম্যাচে আজ নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।
এ ম্যাচের একাদশে একটি বদল এনেছে বাংলাদেশ। ওপেনার সৌম্য সরকার বাদ পড়েছেন, তার জায়গা নিয়েছেন জাকের আলি অনিক। দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশ কোনো বদল আসেনি।
আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানো টাইগারদের জন্য এই ম্যাচ সুপার এইটের পথে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে বোলিংয়ের শুরুটা হয়েছে দারুণ। দুই পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদ দুজনেই দুর্দান্ত লাইন-লেন্থে বোলিং করে প্রতিপক্ষের টপ অর্ডারকে গুঁড়িয়ে দেন।
আগে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ওভারেই ধাক্কা দেন তানজিম হাসান সাকিব। রানের খাতা খোলার আগেই এই ডানহাতি পেসার ওভারের শেষ বলে প্রোটিয়া ওপেনার রিজা হ্যানড্রিকসকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। তৃতীয় ওভারে ফের বোলিংয়ে এসে আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কককে বিদায় করেন তানজিম। ভালো খেলার ইঙ্গিত দেওয়া ডি কক (১৮) বোল্ড হয়ে ফিরেছেন।
তানজিমের পর আসরে নামেন তাসকিনও। চতুর্থ ওভারে বাংলাদেশের এই ডানহাতি পেসার প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম (৪)-কে বোল্ড করে ফেরান। পরের ওভারে ফের উইকেট নেন তানজিম। এবার তার শিকার ট্রিস্টান স্টাবস। ৫ বলের মোকাবিলা করা এই ব্যাটার ডাক মারেন তানজিমের বলে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
২৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ২৫ রান রান তুলতে পারে তারা। ৩ ওভারে ১৩ রানে একাই ৩ উইকেট নেন তানজিম।
তবে পাওয়ার প্লের পর ছন্দ হারায় বাংলাদেশ বোলিং। বিশেষ করে স্পিন বোলিংয়ে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি কেউ। ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করেন রিশাদ হোসেন। সাকিব আল হাসান কিংবা মাহমুদউল্লাহরাও পারেননি প্রভাব ফেলতে।
আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ক্লাসেন ও মিলার উইকেটে থিতু হন। ধীরে ধীরে হাত খুলতেও শুরু করেন দুজনেই। আর তাতে নতুন করে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই ১০০-এর দিকে ছুটে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৪
এমএইচএম