যে দলটিকে বলা হয় ক্রিকেটের চোকার। বার বার তীরে গিয়ে যাদের তরী ডোবার অনেক ইতিহাস আছে।
গত সপ্তাহে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে তারা হারালো মাত্র ৪ রানে।
এই জয়ে প্রোটিয়ারা কয়েকটি রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রথম দল হিসেবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। যদিও কাগজে-কলমে এখনও কিছু হিসাব বাকি আছে। কিন্তু সেসব আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
নিউইয়র্কের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ গ্রুপ ডি-এর ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৬ উইকেটে ১১৩ রান করতে পারে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসেই এত কম রান ডিফেন্ড করার নজির নেই।
এই বিশ্বকাপেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২০ রান লক্ষ্য দিয়ে জয় তুলে নেয় ভারত। ক্রমতালিকায় এটি আছে আজকের ম্যাচের পরেই। ২০১৪ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিক ১২০ রানের লক্ষ্য দিয়ে জয় পেয়েছিল শ্রীলঙ্কাও।
দক্ষিণ আফ্রিকাও এর আগে টি-টোয়েন্টি এত কম রানের লক্ষ্য দিয়ে জেতেনি। সর্বশেষ ২০১৩ সালে কলম্বোতে ১১৫ রান করে জয় তুলে নিয়েছিল তারা। ৫ রানের কম ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ নিয়ে মোট ৪ ম্যাচ জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্য কোনো দল দুইয়ের অধিক জয়ই পায়নি।
এ নিয়ে টানা ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস দুই দলেরই পয়েন্ট ২ করে। দক্ষিণ আফ্রিকার পরের ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে। বড় কোনো আপসেট না ঘটলে ওই ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকাই জিতবে। আর না জিতলেও ৩ জয়ে তাদের সুপার এইট নিশ্চিত। যেখানে উঠবে প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল।
নেট রানরেটের (+০.৬০৩) দিক থেকেও সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের পরে আছে বাংলাদেশ (+০.০৭৫) ও নেদারল্যান্ডস (+০.০২৪)। নেপাল ও শ্রীলঙ্কার অবস্থা এখানেও খারাপ। দুই দলই এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ জেতেনি।
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার হাতে এখনো দুইটি করে ম্যাচ আছে। নেপালের হাতে আছে ৩ ম্যাচ। ফলে কাগজে-কলমে সব দলেরই সুযোগ আছে সুপার এইটে উঠার। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার মতো নিশ্চিন্তে কেউ থাকছে না, এটা অন্তত নিশ্চিত।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
এমএইচএম