ঠিক এমন একটি ম্যাচই চেয়েছিল ইংল্যান্ড। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিধ্বস্ত হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ওমানকে হারানোর আগে ইংল্যান্ডের রানরেট ছিল -১.৮০০, ওমানকে হারানোর পর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে +৩.০৮১ এ। শুধু তা-ই নয়, বিশ্বকাপ ইতিহাসে তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে কম বল খেলে জয়ের রেকর্ডও গড়েছে ইংল্যান্ড। ওমানের দেওয়া ৪৮ রানের লক্ষ্য পেরোতে কেবল ১৯ বল খরচ করে তারা। ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত করার পর হাতে বাকি ছিল আরও ১০১ বল।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে জোফরা আর্চার ও মার্ক উডের গতির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ওমান। লেজ ভাঙার কাজটি করেন আদিল রশিদ। ৪ ওভারে স্রেফ ১১ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন এই লেগ স্পিনার। এছাড়া সমান ১২ রানে তিনটি করে উইকেট নেন উড ও আর্চার। ১৩.২ ওভারে ৪৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া ওমানের হয়ে সর্বোচ্চ ১১ রান করেন শোয়েব খান। এছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড শুরুটাই করে ছক্কা মেরে। পরের বলে ছক্কা হাঁকান ওপেনার ফিল সল্ট। তৃতীয় বলে অবশ্য সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। জেতার চেয়েও ইংলিশদের বড় উদ্দেশ্য ছিল যতটা সম্ভব দ্রুত ম্যাচ শেষ করা। সেই কাজটা পূর্ণ করেন বাটলার নিজেই। ৮ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক। এছাড়া উইল জ্যাকস ৫ ও জনি বেয়ারস্টো করেন ৮ রান।
এমন দাপুটে জয়ের ফলে ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে চলে এল ইংল্যান্ড। বি গ্রুপে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে স্কটল্যান্ড। রানরেটের কারণে যে স্বপ্ন তারা দেখেছিল, সেটা পূরণ নাও হতে পারে। কেননা ইংল্যান্ডের রানরেট এখন স্কটিশদের চেয়ে ০.৯১৭ বেশি। সুপার এইটে যেতে হলে নামিবিয়ার বিপক্ষে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই ইংল্যান্ডের। একইসঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে স্কটল্যান্ডের হারের দিকেও।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৪
এএইচএস