আশার পালে নতুন করে হাওয়াই লেগেছিল যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে। পাকিস্তানের বিপক্ষে যেখানে জয়ই ছিল না, হুট করে তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ পায় সিরিজ জয়ের স্বাদ।
পাকিস্তানে ওই ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর টানা তিনটি টেস্টে ধরাশায়ী হয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে চলমান দ্বিতীয় টেস্টেও বেহাল দশা দলের। প্রথম ইনিংসে ৫৭৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে প্রোটিয়ারা, ৩৮ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে চার উইকেট। ওরকম সিরিজ জয়ের পর কেন এমন দশা?
উত্তরে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘এটা মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। আপনার প্রক্রিয়াটা মনে রাখতে হবে ফলের চেয়ে বেশি করে। যখন আপনি আপনার লক্ষ্য ও ফলাফল পাবেন, প্রক্রিয়াটা ভুলে যাবেন। ভালো দল এসব ব্যাপার ধারাবাহিকভাবে করে। তারা ম্যাচ জয়ের প্রক্রিয়া মনে রাখে। কোচ হিসেবে আমাদের এটাই কাজ, তাদের প্রক্রিয়া মনে করিয়ে দেওয়া। ’
ঢাকা টেস্টের পর সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মুশতাক আহমেদ। তখনও তিনি বারবার বলেছিলেন বিশ্বাসের কথা। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পর এসেও একই কথা বললেন বারবার। মুখে এতবার বললেও কাজে কেন বাস্তবায়ন করতে পারছেন না তার শিষ্যরা, আত্মবিশ্বাসের কি কমতি আছে?
উত্তরে মুশতাক বলেন, ‘আমার মনে হয় না, তাদের আত্মবিশ্বাস কম। আমি যদি সৎ থেকে উত্তর দেই, সম্ভবত প্রক্রিয়া অনুসরণের ঘাটতি আছে। প্রক্রিয়া হলো, পরিস্থিতি বুঝতে পারা। গেম অ্যাওয়ারনেসের কথাও বলব। কখন বল ছাড়তে হবে, কখন একটু দেখে খেলতে হবে, এই পাঁচ ওভার সাবধান থাকতে হবে। তাদের আত্মবিশ্বাসের কমতি দেখি না। পরিস্থিতি বুঝতে হবে। যত দ্রুত বুঝবে, আমি বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করি… তারা তত দ্রুত শিখবে। ’
‘আপনি কি একদিনে একটি গাছ বড় করতে পারবেন? পানি দিতে হবে, বিশ্বাস রাখতে হবে যে গাছটি বড় হবে। একজন মালি হিসেবে আমরা এটাই করতে পারি। কোচ হিসেবে আমরাও এটি করি। একদিনে গাছ বড় করতে পারবেন না। একদিন না একদিন, দ্রুত হোক অথবা দেরিতে, তারা ছায়াও দেবে ফলও দেবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ