বর্ষসেরা ক্রিকেটারের (স্যার গ্যারি সোবার্স ট্রফি) সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক ও জো রুট, ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ এবং অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। আগামী জানুয়ারির শেষদিকে সেরা ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি।
টেস্টে এ বছর বেশ ধারাবাহিক ছিলেন ব্রুক। ১২ ম্যাচ খেলে ৪ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিসহ ৫৫ গড়ে ১ হাজার ১০০ রান করেছেন তিনি। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ তো বটেই দেশের বাইরেও দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তার ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৬ বছর পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জেতে ইংল্যান্ড। শুধু তা-ই নয়, রুটকে উঠেছে র্যাংকিংয়ের চূড়ায়ও।
রঙিন পোশাকে অবশ্য তেমন নিয়মিত ছিলেন না ব্রুক। তবে ৫ ওয়ানডেতে ৩১২ রান ও ৬ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ১৬৩ রান করেছেন তিনি। এ বছর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দেখা যায়নি জো রুটকে। তবে টেস্টে আলো ছড়িয়েছে তার ব্যাট। ১৭ ম্যাচে ৫৫.৫৭ গড়ে ১ হাজার ৫৫৬ রান নিয়ে বছরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। র্যাংকিংয়ের চূড়ায় ছিলেন বেশিরভাগ সময়। চোখ রাঙানি দিচ্ছেন শচীন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডকেও।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কাছে বক্সিং ডে টেস্টে হারলেও বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। শুধু এই টেস্টই নয়, বছরটাই দারুণ কেটেছে ডানহাতি এই পেসার।
ভারতের হয়ে জিতেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, জিতেছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। সবমিলিয়ে ভারতের পেস অ্যাটাকের দায়িত্বের ভারটা নিজের কাঁধেই বয়ে চলেছেন তিনি। ওয়ানডে না খেললেও ১৩ টেস্টে কেবল ১৪.৯২ গড়ে ৭১ উইকেট ও ৮ টি-টোয়েন্টিতে ৮.২৬ গড়ে ১৫ উইকেট ঝুলিতে আছে তার।
বছরটি স্মরণীয়ভাবে কেটেছে ট্রাভিস হেডেরও। ১৫ টি-টোয়েন্টি খেলে ১৭৮.৪৭ স্ট্রাইকরেটে ৫৩৯ রান করেছেন তিনি। ৫ ওয়ানডেতে একটি সেঞ্চুরিসহ ২৫২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। তবে টেস্টে বরাবরের মতো মিডল অর্ডারে অস্ট্রেলিয়ার নির্ভরতার প্রতীক থেকেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৯ টেস্ট খেলে ৩ সেঞ্চুরিসহ ৪০.৫৩ গড়ে ৬০৮ রান করেছেন তিনি।
এদিকে ভোটিংয়ের মাধ্যমে বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচনে অবদান রাখতে পারবেন ক্রিকেট ভক্তরাও। সেজন্য আইসিসির ওয়েবসাইটে যেতে হবে তাদের।
আইসিসি অ্যাওয়ার্ডের সংক্ষিপ্ত তালিকা:
বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার (স্যার গ্যারি সোবার্স ট্রফি): হ্যারি ব্রুক, জাসপ্রিত বুমরাহ, ট্রাভিস হেড ও জো রুট।
বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার (র্যাচেল হেইহো ফ্লিন্ট ট্রফি): চামারি আতাপাত্তু, এমিলিয়া কের, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, লরা উলভার্ট।
বর্ষসেরা পুরুষ টেস্ট ক্রিকেটার: হ্যারি ব্রুক, জাসপ্রিত বুমরাহ, কামিন্দু মেন্ডিস, জো রুট।
বর্ষসেরা পুরুষ ওয়ানডে ক্রিকেটার: ভানিন্দু হাসারাঙ্গা, কুশল মেন্ডিস, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, শেরফান রাদারফোর্ড।
বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে ক্রিকেটার: চামারি আতাপাত্তু, স্মৃতি মান্ধানা, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, লরা উলভার্ট।
বর্ষসেরা পুরুষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার: বাবর আজম, ট্রাভিস হেড, সিকান্দার রাজা, অর্শদীপ সিং।
বর্ষসেরা নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার: চামারি আতাপাত্তু, স্মৃতি মান্ধানা, অরলা প্রেন্ডারগাস্ট, লরা উলভার্ট।
উদীয়মান পুরুষ ক্রিকেটার: গাস অ্যাটকিনসন, সাইম আইয়ুব, শামার জোসেফ, কামিন্দু মেন্ডিস।
উদীয়মান নারী ক্রিকেটার: অ্যানেরি ডের্কসেন, সাসকিয়া হর্লি, শ্রেয়াঙ্কা পাতিল, ফ্রেয়া সার্জেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
এএইচএস