ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টির আনুষ্ঠানিক দল ঘোষণা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৩
বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টির আনুষ্ঠানিক দল ঘোষণা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অনিবার্য কারণে এবার হচ্ছে না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। জানুয়ারির প্রথম দিকে শুরু হবে জাতীয় লিগ।

তারপরই বাংলাদেশ জাতীয় দলকে পার করতে হবে ব্যস্ত সময়। ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর হওয়ায় ভালো কিছু করার প্রত্যাশি বাংলাদেশ দল। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে লাল-সবুজদের আরো উপযোগী করে গড়ে তুলার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়ে।

আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। জাতীয় দলের খেলোয়াড়সহ মোট ৫৬ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে চারটি দল গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে টুর্নামেন্টের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন বিসিবি প্রেসিন্ডেন্ট নামজুল হাসান পাপন। বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আরো ছিলেন গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

সংবাদ সম্মেলন শুরুর প্রথমেই লটারির মাধ্যমে লাল, নীল, হলুদ ও সবুজ দলগুলোকে নতুন নাম দেয়া হয়। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে লাল দলের নাম হয়েছে আবহনী। নীল দলের নেতৃত্বে তামিম ইকবাল, দলটির নতুন নাম বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশ। সাবেক অধিনায়ক হলুদ দলের দায়িত্ব পেয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এ দলটির নাম দেয়া হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সবুজ দলের নতুন নাম হয়েছে প্রাইম ক্রিকেট ক্লাব, নেতৃত্বে বিশ্ব সেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল-হাসান।

নাজমুল বলেন,‘যেহেতু আগামী মাসে জাতীয় লিগ শুরু হবে তাই আমি দেখেছি আমাদের হাতে তেমন আর সময় নেই। এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার তাই চেষ্টা করলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি টি-টোয়েন্টির জন্য আমরা এখনো ভালো দল হতে পারিনি। অন্য খেলায় কিছু একটা করতে পারলেও টি-টোয়েন্টিতে আমি নিজেও ভয় পাই। আমাদের এতো আত্মবিশ্বাস এখনো আসেনি। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই আয়োজন। ’

বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের নাম পরিবর্তন হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন তিনি,‘ প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ছাড়া বড় কোনো স্পন্সর পাইনি। তারপর আমার ক্লাবগুলো সঙ্গে কথা বলেছি। শুধু মাত্র আবাহনী ও মোহামেডান দুটি টিম কিনেছে। অন্য কেউ যদি আসে তাহলে আমরা বোর্ড প্রেসিডেন্টে একাদশ নামের দলটি তাদের দিয়ে দিব। কেউ না আসায় এই দলটির নাম আপাতত বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশ দেওয়া হয়েছে। ’

খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। খালেদ মাহমুদ সুজন টুর্নামেন্টের নিয়ম নিয়ে বলেন,‘বোর্ড প্রেসিডেন্টের অনুরোধে খুব দ্রুত এই খেলার আয়োজন করছি। সেই সঙ্গে সিলেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্সকেও ধন্যবাদ। তারা আমাদের জন্য মাঠটি প্রস্তুত রেখেছেন। আমরা টিভিতে দেখানোর চেষ্টা চলাচ্ছি। যদি সিলেটের ম্যাচগুলো দেখানো নাও হয় তবে চেষ্টা করব ঢাকার ম্যাচগুলো টিভিতে দেখানো। ’

এ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২০ লাখ টাকা। আর রানাসআপ দল পাবে ১০ লাখ। সিরিজ সেরা পাবেন এক লাখ টাকা। এছাড়া এ টুর্নামেন্টে ‘এ’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা পাবে আড়াই লাখ টাকা ও ‘বি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা পাবে দেড় লাখ টাকা।

দর্শকরা টিকিট কেটে খেলা দেখতে পারবেন। ৫০ টাকার এক টিকিটে দুই ম্যাচ দেখতে পারবেন তারা। অবশ্য এখন পর্যন্ত কোনো টাইটেল স্পন্সর পাওয়া যায়নি।

রোববার থেকে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ২০ ডিসেম্বর ২০১৩
সম্পাদনা: ফাহিম হোসেন মাজনুন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।