সিডনি: কেবলমাত্র চতুর্থ টেস্টে খেলতে নেমেই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের নাকানিচুবানি খাওয়ালেন ইংলিশ পেসার বেন স্টোকস। স্টিভেন স্মিথ ব্যাট হাতে না দাঁড়ালে প্রথম ইনিংসে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতো অসিরা।
প্রথম দিন শেষে,
অস্ট্রেলিয়া: প্রথম ইনিংস- ৩২৬/১০
ইংল্যান্ড: প্রথম ইনিংস- ৮/১ (৬ ওভার)
সিডনির ঘাসময় উইকেটে পেসারদের রাজত্ব বুঝতে পেরে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। প্রত্যাশিত ফলই পেয়েছেন তিনি। স্টুয়ার্ট ব্রড ও স্টোকসের জোড়া আঘাতে মধ্যাহ্নবিরতির খানিক পর অসিদের দলীয় স্কোরবোর্ডে অবস্থা ৫ উইকেটে ৯৭ রান।
এরপর হাডিনকে নিয়ে স্মিথের ১২৮ রানের জুটিতে পথে ফিরে আসে স্বাগতিকরা। সিরিজের দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক পান স্মিথ ১৪২ বলে ১৬ চার ও এক ছয়ে। এই জুটিতে সিরিজের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি পান হাডিন, ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের এটি ১৭তম ফিফটি। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে এক সিরিজে ষষ্ঠবারের মতো ৫০’র উপর রান করলেন তিনি।
ব্যক্তিগত ৭৫ রানে হাডিনকে ফিরিয়ে শক্ত জুটিটি ভাঙেন স্টোকস। মিচেল জনসনকে (১২) নিয়ে ৪৪ ও রায়ান হ্যারিসের (২২) সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলকে তিনশ’র উপর নিয়ে যান স্মিথ।
স্টোকস ক্যারিয়ার সেরা বোলিং পারফরমেন্স করতে বেছে নেন নিজের ২০তম ওভারকে। হ্যারিস ও পিটার সিডলকে পরপর সাজঘরে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন। নাথান লায়ন পরের বলটি ঠেকিয়ে তাকে সুযোগ বঞ্চিত করেন। কিন্তু শেষ বলে স্মিথ জো রুটের তালুবন্দি হলে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ১৫৪ বলে ১৭ চার ও এক ছয়ে ১১৫ রান করেন স্মিথ।
অসিদের হয়ে ৪৩ রানে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেন শেন ওয়াটসন।
স্টোকস ১৯ ওভার পাঁচ বলে ৯৯ রান দিয়ে ছয় উইকেট নেন। দুটি পান ব্রড। বাকি দুটি ভাগ করে নেন জেমস এন্ডারসন ও স্কট বোর্থউইক।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ওপেনার মাইকেল কারবেরি রানের খাতা না খুলে বিদায় নেন। কুক ৭ ও এন্ডারসন ১ রানে অপরাজিত খেলছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, ৩ জানুয়ারি ২০১৪
সম্পাদনা: ফাহিম হোসেন মাজনুন, নিউজরুম এডিটর