ঢাকা: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজ দেশের খেলাতেই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড করা নিয়ে ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবদিকদের। আগের মতো এখন আর যে কোনো সাংবাদিককেই দায়িত্ব পালনের জন্য এই কার্ড দিচ্ছে না দেশের ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি।
প্রবেশ কার্ড নিয়ে বিসিবি নতুন নিয়ম হলো একাধিক সাংবাদিকের কার্ড হলেও কাজ করার (ওয়ার্ক পার্মিট) অনুমতি পাবে একজন। অন্য সিরিজগুলোর সময় প্রায় চারশ অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড তৈরি করা হয়। কিন্তু বিসিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশেই প্রকাশ্যে কার্ড পাচ্ছেন প্রায় দেড়শতাধিক সাংবাদিক। হাতে গোনা কয়েকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম ছাড়া অধিকাংশই কার্ড পায়নি।
আবার কোনও কোনও জনপ্রিয় সংবাদপত্র হাউজের জন্যে ১টি প্রবেশ কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। তাও নানা রকম গড়িমসির পর। কিছু মিডিয়া একাধিক ওয়ার্ক পার্মিট পাচ্ছে তাও আবার বিসিবির লোকজনের সঙ্গে অতিঘনিষ্ঠতার কারণে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাংবাদিক বাংলানিউজকে জানান,‘নিয়মিত মাঠে এলেও আন্তর্জাতিক সিরিজে আমাদের কার্ড হয় না। অথচ অনেকেই আছেন যারা মাঠে না এলেও আন্তর্জাতিক সিরিজের সময় ঠিকই কার্ড পান। আবার অনেক সময় সম্পর্কের ওপর বিবেচনা করেও কার্ড ইস্যু করা হয়। কার্ড ইস্যুর ব্যাপারে বিসিবির মিডিয়া কমিটির অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনা দেখা যায়। অথচ এর কোনও সমাধান নেই। ’
আরেক সাংবাদিকও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,‘আমি মিডিয়া কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানায় শ্রীলঙ্কা দলকে অতিরিক্ত নিরাপত্তার কারণে এবার কম সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হচ্ছে। তাহলে কী সাংবাদিকরাও শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তার জন্য আতঙ্কের?’
প্রেসবক্সে প্রবেশের ক্ষেত্রেও এবার এসেছে নতুন নিয়ম। এতদিন শুধুমাত্র প্রবেশকার্ড থাকলেই প্রেসবক্সে প্রবেশ করা যেত। তবে এবার থেকে শুধুমাত্র প্রবেশকার্ড থাকলেই হবে না এর সঙ্গে যোগ করতে হবে অতিরিক্ত ওয়ার্কিং কার্ড। এক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থাপনা চোখে পড়েছে। বিশেষ বিশেষ কয়েকটি মিডিয়া হাউজের জন্যে ইস্যুকৃত প্রতিবেদক কার্ডধারী সবাইকেই ওয়ার্কিং কার্ড দেওয়া হলেও বেশ কয়েকটি হাউজকে একটির বেশি ওয়ার্কিং কার্ড দেওয়া হয়নি।
বিসিবির এক চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীর সঙ্গে আলাপকালে এমন নিয়মের ব্যাপারে তিনি বলেন,‘অধিকাংশ সাংবাদিকই কাজ করেন না। তারা শুধুমাত্র দুপুরের খাবার এবং বিকালের নাস্তা খেয়ে চলে যান। এজন্যেই এবার নতুন এ পদ্ধতি চালু হয়েছে। ’
এ বিষয়ে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ২৭ জানুয়ারি ২০১৪