ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নিজেদের খুঁজে পাওয়ার দিন টাইগারদের

ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৪
নিজেদের খুঁজে পাওয়ার দিন টাইগারদের

ঢাকা: নিজেকে চেনানোর ক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। এই বৈশিষ্ট্য যেমন ব্যক্তির বেলায় প্রযোজ্য, তেমনি একটি দল কিংবা দেশের ক্ষেত্রেও।

পাকিস্তান আনপ্রেডিক্টেবল দল হিসেবে পরিচিত, শ্রীলংকা ব্যালান্সড দল, শক্তিশালী দল ভারত, আর দুর্বল দল হিসেবে পরিচিতি নেদারল্যান্ড। কত না বৈশিষ্ট্যেই চেনানো যায় এক একটি দলকে।

এসব বৈশিষ্ট্য বিচার করে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল ও খেলোয়াড়দের নিয়ে হাজারো চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা।

বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এ আসরে অনেক দলের চেয়েই দুর্বল বাংলাদেশ, তবে একেবারেই যে আন্ডারডগ তাও নয়। আবার প্রত্যেক ম্যাচে স্বাগতিকরা জিতবে কিংবা শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হবে এমনটা হয়তো আশা করা যায় না।

কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে হংকংয়ের মতো দুর্বল দলের কাছে অগ্রহণযোগ্য হার, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারতের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ যেন বাংলাদেশের নতুন পরিচয় দিচ্ছে- এ কোন বাংলাদেশ?

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপে টাইগাররা প্রত্যেকটা ম্যাচেই হেরেছে, তবে সেটা ছিল লড়াকু হার। সেসব হার নিয়ে কারও আক্ষেপ ছিল না। টাইগারদের কাছ থেকে এমন লড়াকু খেলাইতো কামনা করে অগণিত ক্রিকেটপ্রেমী।

কিন্তু গত কয়েকটি ম্যাচে যে বাংলাদেশ দলকে দেখা যাচ্ছে, এ দল কি আসলেই বাংলাদেশ? এটাই কি বাংলাদেশের খেলা?

বুকে হাত রেখে শত-কোটি ক্রিকেটপ্রেমী বলে দেবে-না, এটা টাইগারদের আসল চেহারা নয়। লড়াকু সেই বাংলাদেশকে কেউই দেখতে পাচ্ছে না।

টাইগার দলের সুপার পারফরমার সাকিব আল হাসানও এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত। তাইতো সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বললেন, একটি জয়ই দলের আত্মবিশ্বাস পাল্টে দিতে পারে। আসলেই তাই রোববার পাকিস্তানের সঙ্গে একটি জয় দিয়েই পুরো দলকে আগের চেহারায় খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

সেই শক্তি ও সামর্থ্য বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের রয়েছে। সেই প্রমাণ বহুবার পেয়েছেন এদেশের ক্রিকেট অনুরাগী জনতা।

১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়েছিল টাইগাররা। এরপর একে একে টাইগাররা ধরাশায়ী করেছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ডের মতো শক্ত প্রতিপক্ষকে।
 
দলের পারফরম্যান্স ভালো না হওয়ায় এ নিয়ে কোচ শেন জার্গেনশন ও নির্বাচকরা কম পরিকল্পনা আঁটেননি। ব্যাটিংয়ে সাকিবকে তিন নম্বর থেকে চার নম্বর পজিশনে নামিয়ে আনা, দলে চার চারটি রদবদলও হলো গেল ম্যাচে।  

রোববারও তো সেই পাকিস্তান। আগে পারলে এবার কেন নয়। সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদ, এনামুল, সোহাগ গাজীরা তাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু উজাড় করে দিলেই রোববার স্বাগতিকরা অনেক অধরা একটি জয় এনে দিতে পারে কোটি ক্রিকেটপ্রেমীকে।

দু’টি ম্যাচে হেরে সেমিফাইনালের আশা আগেই শেষ। রোববার চাপমুক্ত থেকে কাপ্তান মুশফিকের জয় ছিনিয়ে আনা তাই সহজই হওয়ার কথা।   

যদিও এই পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী বোলিং ও ব্যাটিং লাইন আপের বিপক্ষে জয় কোনোভাবেই সহজ হবে না। অবশ্য, রোববারের ম্যাচে চাপে থাকবে পাকিস্তানই। এই ম্যাচে হারলে ছিটকে পড়তে হবে তাদের। চাপে থেকে ভেঙেও পড়তে পারে তারা। আর নির্ভার থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব সাকিবদের। কারণ ক্রিকেট শুধু মাঠের খেলাই নয়, মনস্তাত্বিক লড়াইও বটে। সেই লড়াইয়ে আজ এগিয়ে থাকবে স্বাগতিক টাইগাররাই।

 

** বিকেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে টাইগাররা

 

বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।