ঢাকা: দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বুধবার ইস্ট লন্ডনে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে সহজেই ক্যারিবীয়দের নয় উইকেটে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা।
১২৩ রানের সহজ টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। দলীয় ২৭ রানে ওপেনার রিলে রোসুউয়ের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রোসুউ ব্যক্তিগত সাত রানে জেসন হোল্ডারকে তুলে মারতে গেলে মিডঅফে দিওনারায়নের হাতে ধরা পড়েন।
এরপর অবশ্য হাশিম আমলা এবং ফাফ ডু প্লেসিস ক্যারিবীয় বোলারদের কোন পাত্তাই দেননি। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
হাশিম আমলা ৬১ এবং ফাফ ডু প্লেসিস ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয় ছাড়া বিকল্প নেই এমন সমীকরণ নিয়ে তৃতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু প্রোটিয়াদের দাপুটে বোলিংয়ে ১২২ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্ট লন্ডনে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় ক্যারিবীয় দলপতি জ্যাসন হোল্ডার। কিন্তু শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে সফরকারিরা। প্রোটিয়া পেসারদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তাদের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় পাঁচ রানে ওপেনার ডোয়াইন স্মিথের উইকেট তুলে নেন ভারনন ফিলিন্ডার। এরপর ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ছয় রানে ক্রিস গেইলের উইকেট তুলে নিলে বিপদে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কিন্তু তৃতীয় উইকেটে দিওনারায়ন এবং মারলন স্যামুয়েলস ২৭ রান যোগ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। দলীয় ৩৩ রানে দিওনারায়ন ডেইল স্টেইনের বলে আউট হলে ক্যারিবীয়দের সে প্রতিরোধও ভেঙ্গে যায়।
এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক পর্যায়ে তাদের রান দাঁড়ায় নয় উইকেটে ৯৬ রান। তখন মনে হচ্ছিল ক্যারিবীয়রা একশ রানের নীচেই অল আউট হয়ে যাবে। তবে শেষ ব্যাটসম্যান সুলায়বেনকে সঙ্গে নিয়ে শেষ উইকেটে ২৬ রান যোগ করলে বড় লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পায় ক্যারিবীয়রা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে লেগ স্পিনার ইমরান তাহির ২৮ রানে নেন চার উইকেট এবং ভারনন ফিলিন্ডার নেন ২৭ রানে তিন উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৫