ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

স্ত্রীকে আলমারির পিছনে লুকিয়ে রাখতেন সাকলাইন

ওয়ার্ল্ডকাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫
স্ত্রীকে আলমারির পিছনে লুকিয়ে রাখতেন সাকলাইন ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: এগারোতম বিশ্বকাপের মঞ্চে ক্রিকেটারদের সঙ্গে স্ত্রী কিংবা বান্ধবী নিষিদ্ধ করেছে কয়েকটি দেশের ক্রিকেট বোর্ড। যখন এ নিয়ে ক্রিকেটার আর ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে বিতর্ক লেগেই আছে, তখন পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার সাকলাইন মুস্তাক জানালেন তার ক্রিকেটীয় সফরের গোপন গল্প।



পাকিস্তানের অন্যতম সেরা এ স্পিনার জানান, ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের আসরে তাদের বোর্ড প্রথমত স্ত্রীদের ক্রিকেটারদের হোটেল রুমে থাকার অনুমতি দিয়েছিল। তবে, পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

সাকলাইন বলেন, ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ সফরে আমরা প্রথম দিকে স্ত্রীদের হোটেল রুমে রাখার অনুমতি পেয়েছিলাম। কিন্তু সেমি-ফাইনালের আগে টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেয় রুমে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাদের স্ত্রীরা থাকতে পারবেন না। তাই আমি সানাকে (সাকলাইনের স্ত্রী) বলি, তাকে ছাড়া আমি থাকতে পারব না। আমি তোমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে চাইনা।

সাকলাইন সে গল্প করতে গিয়ে আরও বলেন, আমি সানাকে আমাদের হোটেলের তালিকা দিয়ে দেই। আর তাকে জানিয়ে দেই আমরা কবে, কোন হোটেলে থাকব। সে আগে থেকেই তালিকা দেখে হোটেলে অবস্থান নিতো। আর আমি তাকে রুমে নিয়ে আসতাম।

তবে, টিম ম্যানেজমেন্টকে ফাঁকি দিলেও সতীর্থদের ফাঁকি দিতে পারেন নি সাকলাইন। ঠিকই ধরা পড়েন দলের সতীর্থ ক্রিকেটার মোহাম্মদ উইসুফ আর আজাহার মেহমুদের কাছে।

যখন সতীর্থ বা কোচিং স্টাফদের কেউ সাকলাইনের রুমে আসতো তখন সানাকে আলমারির পিছনে লুকিয়ে রাখতেন তিনি। সাকলাইন বলেন, একদিন আমার রুমে ইউসুফ ও মেহমুদ আসতে চাইলে আমি সানাকে আলমারির পিছনে লুকিয়ে রেখে দরজা খুলে দেই। কিছুক্ষণ পর লক্ষ্য করি তারা দু’জনই বিষয়টি টের পেয়ে হাসাহাসি করছে। এরপর সানাকে আমি আলমারির পিছন থেকে বের করে আনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।