ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘এটা অভাবনীয় একটা ব্যাপার’

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
‘এটা অভাবনীয় একটা ব্যাপার’ ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

ঢাকা: বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে হোম সিরিজে পাকিস্তানকে প্রথম দুই ওয়ানডেতে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপে তিন পেসার নিয়ে খেলেছে টাইগাররা।

ঘরের মাঠেও সেই ধারা অব্যহত রেখেছে দলটি। প্রথম দুটি ওয়ানডেতে তিন পেসার ঠাঁই পেয়েছে বাংলাদেশ শিবিরে।
 
যে বাংলাদেশ দলের স্পিন-ই ছিল মূল শক্তি সেই দলেই ভরসার জায়গায় সমান আবেদন এখন পেসারদের। বাংলাদেশের ক্রিকেটের কক্ষপথে এমন পরিবর্তনকে খুবই ইতিবাচক মনে করছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান।
 
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এখন বাংলাদেশ দল তিনটা ফাস্ট বোলার নিয়ে খেলছে-এটা অভাবনীয় একটা ব্যাপার। কারণ, আমাদের এখানে সবাই সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ রফিক হতে চাইতো। কারণ এখানে শুধু স্পিন বোলাররা প্রতিপক্ষকে ডোমিনেট করতে পারতো। এখন কিন্তু তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, আল আমিনদের  দেখে অনেকেই ফাস্ট বোলার হতে চাইছে। মাশরাফি’তো আগে থেকেই ছিল। আইডল হিসেবে এখন এরাও দাঁড়িয়েছে। ’ আসলে ফাস্ট বোলার ছাড়া বিশ্ব ক্রিকেটে ডোমিনেট করা সম্ভব না। ’

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় প্রসঙ্গে রকিবুল হাসান বলেন,‘সিরিজ জেতাটাকে আমি ম্যাচ জয় দিয়ে হিসেব করছি না। আমি দেখছি জয়টা কিভাবে এসেছে। প্রথমটিতে ৭৯ রান, দ্বিতীয়টিতে সাত উইকেটের জয়। ক্রিকেটারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ টোটালি চেইন্জড-এটা লক্ষনীয় বিষয়। প্রত্যেকটা দেশ ম্যাচ জয়ের পর আনন্দ করে। অতীতে আমরা দেখেছি ম্যাচ জয়ের পর উল্লাস-উৎসাহ, হৈ-চই দৌড়াদৌড়ি করতে। কিন্তু এবার আমরা তা দেখিনি। প্রথম ম্যাচেও দেখিনি, দ্বিতীয় ম্যাচেও দেখিনি। এটা কী ইঙ্গিত বহন করে। এই খেলোয়াড়রা বুঝতে শিখেছে- তারা ম্যাচ জয় করবে, এটাই তাদের কাজ, এটাই স্বাভাবিক। তারা যে কতটা কনফিডেন্ট সেই বার্তাটা তো আগেই দিয়েছিল সাকিব আল হাসান। ’  
 
বাংলাদেশ দল গঠন কিংবা একাদশ নির্বাচনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় নির্বাচকরদের। এই ব্যাপরাটি আগামী দিনে খুব আশাবাদী করছে বাংলাদেশ দলকে। এই প্রসঙ্গে সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘এক-ঝাঁক প্লেয়ার তৈরী হয়ে গেছে আমাদের। তরুণ সৌম্য সরকার থেকে শুরু করে সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, তাসকিন আহমেদরা খুব ভালো করছে। ২০১৯ বিশ্বকাপকে যদি সামনে রাখি তাহেলে রনি তালুকদার, লিটন দাস, আব্দুল মজিদরা কড়া নাড়বেন দলে ঢুকতে। এটা ‍খুব ভালো একটি দিক আমাদের জন্য।
 
টিমের স্পিরিট ধরে রাখতে কী করনীয়-এমন প্রশ্নে রকিবুল হাসান বলেন,‘আমাদের অবশ্যই ধৈর্য্য রাখতে হবে। এটা সত্যি কথা, ওয়ানডে ও টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থেকে যেমন করে ক্রিকেটের ডেভেলপমেন্ট হওয়ার কথা ছিল, তেমন করে হয়নি।   তবে সেটা আবদ্ধও থাকেনি। স্রোতে ক্রিকেটার ঠিকই বের হয়ে গেছে। এখন এই খেলোয়াড়গুলোকে আরো ভালো একটি অবকাঠোমোতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো গ্রাউন্ডস, উইকেট ও  কন্ডিশনের ব্যবস্থা করতে হবে। ’
 
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল ভালো করলেও টেস্টে তেমন সাফল্য নেই বাংলাদেশ দলের। তৃতীয় ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পরই পাকিস্তানের সঙ্গে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে নামবে টাইগাররা।   টেস্ট সিরিজ নিয়ে রকিবুল হাসান বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে আসল ক্রিকেট-এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের খেলোয়াড়রা খারাপ করছে তা কিন্তু না। লাস্ট সিরিজগুলোতে বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো করেছে। এই মুহুর্তে বাংলাদেশ কিন্তু ব্যালান্সড সাইড। বোলিং ডিপার্টমেন্ট যদি বলি তাদের ভ্যারাইটিজ অব বোলার আছে। ফাস্ট বোলার আছে, ভালো স্পিনার আছে।   দুই টিমের সঙ্গে যদি তুলনা করি- ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্টে হয়তো পাকিস্তান আমাদের চেয়ে  একটু এগিয়ে থাকবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
এসকে/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।