ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সিরিজ হেরে মিয়াদাঁদ, লতিফরা যা বললেন

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৫
সিরিজ হেরে মিয়াদাঁদ, লতিফরা যা বললেন ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশের টাইগারদের বিপক্ষে সিরিজ হেরে নিজ দেশের সাবেক ক্রিকেট গ্রেটদের থেকে সমালোচনা শুনতে হচ্ছে বোর্ড ও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। সাবেক এ ক্রিকেট তারকাদের মধ্যে রয়েছেন জাভেদ মিয়াদাঁদ, ওয়াসিম বারি আর রশিদ লতিফের মতো গ্রেট ক্রিকেটার।



টাইগারদের বিপক্ষে সফরের আগে পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটারাই নিজ দলটিকে এগিয়ে রেখেছিলেন। সফরকারী দলটি বাংলাদেশের বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেছিলেন যারা এবারে তারাই ভোল পাল্টে ভিন্ন সুরে কথা বলছেন।

স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো সুবিধা আদায় করতে না পেরে প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তান পরাজিত হয় ৭৯ রানে। আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হার মানে ৭ উইকেটে। শুধু লজ্জার হার নয়, সিরিজটিও খুঁইয়ে বসে পাকিস্তান। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে ২২ এপ্রিল তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে মিয়াদাঁদ, লতিফদের উত্তরসূরিরা।

টাইগারদের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিয়াদাঁদ বলেছেন, এটা পাকিস্তান ক্রিকেটের ইতিহাসে সব থেকে বাজে অবস্থা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ হেরে এটা প্রমানিত হয়েছে। এখনই যদি পাকিস্তান বোর্ড থেকে কোনো ভালো ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে ভবিষ্যতে দলটির আরও নাজুক অবস্থা হবে।

এ সময় মিয়াদাঁদ আরও বলেন, আমি বাংলাদেশে অল্প কিছুদিনের জন্য কাজ করেছি (২০০২ সালে)। তাদের বেসিক কিছু জিনিস আমি শিখিয়েছিলাম। তবে, এই বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশ নয়। এ দলটি দিনের পর দিন উন্নতি করছে। যে কোনো দলকেই তারা হারিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে।

এদিকে, পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক ওয়াসিম বারি বলেছেন, পাকিস্তানের এ দলটিকে নিয়ে সফরের আগে থেকে কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। কৌশলগত কোনো চিন্তা-ভাবনা করেনি ক্রিকেট বোর্ড। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে। তাই তাদের দলটিকে নিয়ে ভাবা উচিৎ ছিল। বিশ্বকাপের ফর্ম ধরে রেখেছে বাংলাদেশ, পরে পাকিস্তানকে সিরিজ হারতে হয়েছে।

পাকিস্তানের আরেক সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেট তারকা রশিদ লতিফ বলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে সফরের আগে পাকিস্তান বোর্ডের ভাবা উচিৎ ছিল দলের পরিবর্তন নিয়ে। আমরা গত ৫ বছরে প্রায় ৯০ জন ক্রিকেটারকে সুযোগ করে দিয়েছি। ওপেনিং জুটিকে ১৯ বারের মতো পরিবর্তন করিয়েছে। বহুবার বোলারদের জুটি ভেঙে নতুন জুটি তৈরি করেছি। তাতেও কোনো লাভ হয়নি।

বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। এরপর একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেষে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, ২১ এপ্রিল ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।