ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সিনিয়রদের সাহসেই বিধ্বংসী সৌম্য

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
সিনিয়রদের সাহসেই বিধ্বংসী সৌম্য ছবি : শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: প্রথম ‍দু’টি ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি। মনের কোণে কিছুটা হতাশা এসেই গিয়েছিল।

সেই হতাশা বড় হয়ে ওঠার আগেই অধিনায়ক আর সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ থেকে পেয়েছিলেন বার্তা- ‘তুই তোর মতো খেলবি, তোর ন্যাচারাল খেলা খেলবি’।

সৌম্য তাই-ই করেছেন। নিজেকে-ই যেন মেলে ধরেছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম শতকেই বিধ্বংসী এক সৌম্য! ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। মেরেছেন ৬টি ছক্কা ও ১৩টি চার। হোয়াইটওয়াশ করার ম্যাচে পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন ভালো করার মন্ত্র। মাশরাফি আর কিছু সিনিয়র বড় ভাইদের দেয়া সাহসেই নাকি এমন ব্যাটিং করতে পেরেছেন তিনি। সৌম্যকে সৌম্যর মতো খেলতে দেওয়াতেই এমন এক ইনিংস। ওই বার্তাটাই নাকি সাহস যুগিয়েছে এমন ইনিংস খেলতে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানার ইচ্ছা ছিল আসলে আজকের ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামার পর প্ল্যানটা কি ছিল? উত্তরটা এলো একেবারে আলাদা ধাঁচের। ‘আমাকে পঞ্চাশ করতে হবে বা সেঞ্চুরি করতে হবে-এমন কোনো প্ল্যান নিয়ে আমি ক্রিকেট খেলি না। ঘরোয়া ক্রিকেটেও এসবের দিকে তাকাই না।   প্রথম বলটা যেভাবে খেলি, শেষ বলটা ওইভাবেই খেলার চেষ্টা করি। ’

ক্রিকেটে ‘নাভার্স নাইনটিজ’র একটা ব্যাপার থাকে। অথচ সৌম্য ৯০’র ঘরে গিয়ে আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেছিলেন। ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পূর্ন করেছেন। এই প্রসঙ্গে সৌম্য বলেন, ‘আমার রান কত ছিল আমি দেখি নাই। নরমাল যেভাবে খেলি, আজকেও ওইভাবে শুরু করেছি এবং ওইভাবেই শেষ করেছি। ওই সময় যে ৯৬ রানে ছিলাম এটা খেয়াল করি নাই। ’

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, ২৩ এপ্রিল ২০১৫
এসকে/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।