মিরপুর থেকে: বিপিএলের শেষ দিকে এসে স্বরূপে ফিরলেন সাব্বির রহমান। জাতীয় দলের হয়ে যে কিনা সেরা ম্যাচ ফিনিশারদের একজন, সেই সাব্বিরের ব্যাটেই রান আসছিল না টুর্নামেন্টের শুরুতে।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪৯ বলে ৭৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে দলকে তুললেন ফাইনালে। সাব্বিরের ব্যাটিং ঝলকানিতে এদিন সাধারণই মনে হলো পেরেরা-সাকিব-স্যামিদের বোলিং আক্রমণ। মাঠের চারিদিকে আছড়ে ফেলেছেন তাদের একেকটি বল। সাতটি দর্শনীয় চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা হাঁকান এ ব্যাটসম্যান।
১০ রানে দুই ওপেনারকে হারানো দিশেহারা বরিশালকে পথ দেখান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে শাহরিয়ার নাফিসকে নিয়ে যোগ করেন ১২৪ রান। আর তাতেই জয়ের কাছাকাছি চলে যায় বরিশাল। ক্যানভাসে তুলির শেষ আঁচড়টা দেন বরিশালের দুই ক্যারিবীয়ান ক্রিকেটার রায়াদ এমরিট ও কেভিন কুপার।
শুরুর ৬ ম্যাচ বিবেচনায় সাব্বিরের কাছে বিপিএল ছিল বড় হতাশার। ১৫, ১০, ০, ৩, ১৭, ৪ স্কোরগুলো কোনোভাবেই মানাচ্ছিল না। এরপর রানে ফেরেন ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে এলিমিনিটর ম্যাচে ৪১ রানের ইনিংস খেলে।
ফর্ম ফিরে পাওয়ার পেছনে নিজেকে আলাদা একটা কৃতিত্ব দিতে পারেন সাব্বির। আগের ম্যাচে রান পাওয়ার পেছনে তিনে ব্যাটিংয়ে নামার ব্যক্তিগত ইচ্ছাটাতেই রাসে ফিরলেন এ ব্যাটসম্যান। পাঁচ নম্বর থেকে ওই ম্যাচে তিনে ব্যাট করার ইচ্ছাপোষণ করেন সাব্বির। এ ম্যাচেও তিনে নেমে বিস্ফোরক ইনিংস খেললেন। তিনে নামার টোটকায় দুই ম্যাচেই সফল হলেন সাব্বির, সফলতা পেল বরিশালও।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর