মিরপুর থেকে: যার শুরু আছে তার শেষও আছে। নশ্বর এই জীবনের বিভিন্ন ঘটনাবলীর পাশাপাশি বিপিএলও তার ব্যতিক্রম নয়।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসে উপলব্ধিটা এমনই হলো। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিরোপা জেতার লড়াইয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লার মুখোমুখি হবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বরিশাল।
ম্যাচটি কুমিল্লা ও বরিশালের মধ্যে হলেও রাত পোহালেই বিজয় দিবস তাই লাল-সবুজের পতাকা হাতে, রিস্ট ব্যান্ড ও স্টিকার নিয়ে স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে দুপুরের পর থেকেই ভীড় করছেন দর্শকরা। তবে কারও কারও পরনে বরিশাল ও কুমিল্লার জার্সি চোখে পড়লো। সেই ৪ নম্বর গেট থেকে ১ নম্বর গেট পর্যন্ত ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে দেখতে এসেছেন মাশরাফি-মাহমুদুল্লাহর ব্যাট-বলের লড়াই।
‘মাশাফির খেলা দেখতে এসেছি। আজ কুমিল্লা জিতবেই জিতবে। ’-বলছিলেন কুমিল্লার কয়েকজন ভক্ত সমর্থক।
পাশেই দাঁড়ানো বরিশালের কয়েকজন সমর্থকেরা বলছিলেন, ‘নো ইস্ট নো ওয়েস্ট বরিশাল ইজ দ্য বেস্ট। ’
এমন উৎসাহ নিয়ে বিপিএলের ফাইনাল দেখতে এলেও টিকিট নিয়ে কোন কোন সমর্থকের অসন্তোষ চোখ এড়িয়ে গেলনা। কারণ, তারা ব্যাংকে গিয়ে টিকিট পাননি। তাই স্টেডিয়াম প্রাঙ্গন থেকে ব্ল্যাকে টিকিট কেনার আশায় এলেও তা হয়ে উঠেনি। কারণ এখানে ৪শ টাকার টিকিট ১২শ টাকা আর ৬শ টাকার টিকিটের দাম হাঁকাচ্ছে ১৫শ টাকা করে!
‘বেড়াইত থেকে খেলা দেখতে এসেছি। ব্যাংকে গিয়েছিলাম বললো টিকিট নাই। সেই দুপুর ২টা থেকে স্টেডিয়াম এলাকায় এসে দাঁড়িয়ে আছি। টিকিটের দাম যা বলছে তা চিন্তারও বাইরে। মনে হয় খেলা দেখা হবেনা। ’-বলছিলেন আশাহত কয়েকজন সমর্থক।
শেষ ভাল যার সব ভাল তার। উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের ‘উগ্র’ সমর্থকদের মাঠে অবৈধ প্রবেশের দায়ে এবং তার পরের দিন সিলেট সুপার স্টারসের মালিকের সঙ্গে তামিম ইকবালের বাদানুবাদের কারণে শুরুতেই বেশ সমালোচনা কুড়িয়েছে এবারের বিপিএল। এবার দেখার পালা, শেষটা কতটুকু শৃঙ্ক্ষলতার মধ্য দিয়ে হয়!
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫
এইচএল/আরএম