ঢাকা: বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মর্যাদাপূর্ণ আসরের ট্রফিটি যাতে বাংলাদেশের ক্রিকেট পাগল সমর্থকরা দেখতে পারেন, সেজন্য রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে তা প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অনুরোধ জানায়। সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে বসুন্ধরা সিটি এই মর্যাদাপূর্ণ ট্রফিটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছে।
টুর্নামেন্টের ট্রফি বিভিন্ন দেশে প্রদর্শনের রীতি হিসেবে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় বিশ্বকাপ ট্রফি। বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে ভীড় জমানো উৎসুক জনতা-দর্শনার্থী করতালির মাধ্যমে ট্রফিটিকে স্বাগত জানায়। দুপুর ১২টা থেকেই তারা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন ট্রফিটি দেখার জন্য। পরে তারা লাইন ধরে ট্রফিটি দেখার জন্য দাঁড়িয়ে যান।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য উন্মোচিত থাকবে ট্রফিটি। ১৫ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত তা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এরপরই ট্রফিটি চলে যাবে শ্রীলঙ্কায়। দর্শনার্থীরা চাইলেই নিজ মোবাইলে তুলে নিতে পারবেন ট্রফির ছবি, সেই সঙ্গে সেলফি।
এর আগে বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা (কারিগরি) ও বসুন্ধরা সিটি ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের ইনচার্জ টিআইএম লতিফুল হোসেন জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষের অন্যতম সমাগমস্থল বসুন্ধরা সিটিতে ট্রফি প্রদর্শনে ব্যবস্থা করছেন তারা। ক্রিকেটভক্তরা কার্পেটের গালিচায় লাইন ধরে ট্রফির একেবারে কাছে যেতে পারবেন।
এর আগে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ট্রফির প্রদর্শনীও বসুন্ধরা সিটিতে সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় টি-২০ টুর্নামেন্টের ট্রফিটিও এবার বসুন্ধরা সিটিতে প্রদর্শিত হচ্ছে। শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার আশেপাশে থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী এসেছেন ট্রফিটি দেখতে। গাজীপুর থেকে আসা মৃদুল এর আগে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ট্রফির প্রদর্শনীতে এসেছিলেন। তিনি জানান, ইচ্ছে রয়েছে ভারতে গিয়ে বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টির মেগা ইভেন্ট দেখার।
৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে নামবে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা দলগুলো।
নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিক পরিবেশে বছরব্যাপী বিভিন্ন মেলা, প্রদর্শনী ইত্যাদি নানারূপ অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক সর্বোপরি শৈল্পিক কর্মকাণ্ডে সদা ব্যস্ত বসুন্ধরা সিটির উৎসব মুখরতায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি’র প্রদর্শনী একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিভিন্ন উৎসবে, পার্বনে বসুন্ধরা সিটি দেশের নিজস্ব চেতনাকে শক্তিশালী ভাবে ও নতুন করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে উজ্জ্বীবিত করে তোলার ও আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬
এমআর/এসকে