ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ড শেষ হতেই বদলে গেল সূচি। দ্বিতীয় রাউন্ড যথাসময়েই (১৯-২২ জানুয়ারি) হবে।
এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার পেছনে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ করতে না পারার বিষয়টিকে সামনে আনলেন বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা যাতে অংশ নিতে পারে এ জন্য তৃতীয় রাউন্ড থেকে এটি পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে মিটিং করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। ওই সময়ে জাতীয় দলে যারা থাকবেন তারা ছাড়া সকল শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারই বিসিএলে খেলতে পারবেন।
ক্রিকেট ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যথাসময়েই শুরু হয়েছে বিসিএলের চতুর্থ আসর। এই ক্রিকেট ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয় প্রায় পাঁচ মাস আগে (২৪ আগস্ট)। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ঘটা করে জানিয়ে দেওয়া হয় টুর্নামেন্টের সব ম্যাচের দিন-তারিখ। প্রথম রাউন্ডের দুটি ম্যাচই আগের আসরগুলোর তুলনায় স্পোর্টিং উইকেটে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের সমান রাজত্ব লক্ষ্য করা যায়।
কিন্তু জাতীয় দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পরিকল্পনা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি ওয়ালটন টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ২৪-২৫ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে ক্যাম্প করার।
তবে, শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের রাইরে রেখে খেলতে আগ্রহী নয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। পরে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সাথে সভা করে তৃতীয় রাউন্ড থেকে বিসিএল পিছিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় টুর্নামেন্ট কমিটি।
বিসিএল, বিপিএলের মতোই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। একটি শর্ট ফরম্যাট, আরেকটি লংগার ভার্সন। পার্থক্য কেবল ফরম্যাটে থাকার কথা থাকলেও বিসিএল আয়োজন যথারীতি দায়সারা গোছেরই রয়ে গেছে। ফলে আগামী মৌসুম থেকে বিসিএলের তিন ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি ওয়ালটন সরে যেতে পারে অংশগ্রহণ থেকে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি না পাওয়ায় বিসিএলের প্রথম আসর থেকেই নর্থ জোনের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে স্বয়ং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাকি তিনটি দলের পৃষ্ঠপোষক যথাক্রমে সাউথ জোন-প্রাইম ব্যাংক, ইস্ট জোন-ইসলামী ব্যাংক, সেন্ট্রাল জোন-ওয়ালটন। চতুর্থ আসর মাঠে গড়ালেও এতদিনেও নর্থ জোনের ফ্রাঞ্চাইজি পায়নি বিসিবি। বলা বাহুল্য, ওয়ালটন সরে গেলে ঘোর অনিশ্চিয়তায় পড়তে পারে বিসিএলের ভবিষ্যত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর