ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ওপেনারের সেরা তালিকায় তামিম-কায়েস

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৬
ওপেনারের সেরা তালিকায় তামিম-কায়েস ছবি:সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা ওপেনার হিসেবে নিজেকে বার বার প্রমাণ করেছেন তামিম ইকবাল। ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই নিজেকে মেলে ধরতে পারেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

আর সাদা পোশাকে তামিমের সঙ্গী হিসেবে ওপেনে ইমরুল কায়েসও বেশ কার্যকরী।

 

ক্রিকেটের জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফো এপ্রিলে প্রকাশ করে ‘দ্য ক্রিকেট মান্থলি’। যেখানে একটি বিশেষ ম্যাচের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে পাঁচ জোড়া ওপেনারের নাম দেওয়া হয়। আর এই তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এসেছে টাইগার ওপেনার তামিম ও কায়েসের নাম।

 

এ দু’জনের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ২০১০ সালের লর্ডসে বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচের বর্ননা দেওয়া হয়। সেদিন কি দুর্দান্তই না ছিলেন তামিম। বাংলাদেশি প্রথম কোনো ব্যাটসম্যান হিসেবে লর্ডসের অনার বোর্ডে নাম লেখান তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন কায়েসের সঙ্গে অন্যবদ্য এক জুটি।

এ ম্যাচটির আগে ইংল্যান্ড কিংবদন্তি জেফরি বয়কট বলেছিলেন, বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট খেলার যোগ্যতা রাখে না। আর তার এমন কথাতেই বোধ হয় জ্বলে উঠেছিলেন টাইগার ওপেনাররা। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ম্যাচটিতে আট উইকেটে হেরেছিলো। তবে খেলাটি গড়ায় শেষ দিন পর্যন্ত।

ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে জোনাথন ট্রটের ২২৬ রানে ভর করে ৫০৫ রান করেছিল। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে নেমে ২৮২ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে। যদিও তামিম-কায়েস ৮৮ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছিলেন। তামিম প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ব্যক্তিগত ৫৫ রান। রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি।

এদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে মাটি কামড়ে বসেন তামিম-কায়েস। উদ্বোধনী জুটিতে করেন ১৮৫ রান। ৯৪ বলে সেঞ্চুরি করেন তামিম। যেখানে তার ১৫টি চার ও দুটি ছয়ের মার ছিলো। পরে আরও তিন রান করে আউট হন তামিম। অপরদিকে ৭৫ রান করেন কায়েস। তাদের এই দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই ফলোঅনে পড়েও প্রতিপক্ষকে ১৬২ রানের টার্গেট দিতে পারে বাংলাদেশ।

তামিম সেবার সাহসী এই ইনিংস খেলে চলে আসেন খবরের শিরোনামে। পরে সফরের অন্য টেস্টেও সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। তাতে ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত ‘উইসডেনের’ প্রচ্ছদেও জায়গা করে নেন তামিম।

সেরা ওপেনারের তালিকায় শীর্ষে জায়াগা করে নেন ২০০৩ সালে কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ-হার্শেল গিবস। দ্বিতীয় অবস্থানে ২০০৫ অ্যাশেজে ইংলিশ ওপেনার মার্কাস ট্রেসকথিক ও অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। চারে রয়েছেন ২০০১ গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ইংলিশ ওপেনার মাইকেল অ্যাথাটন ও ট্রেসকথিক। আর পাঁচে রয়েছেন ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ক্যারিবীয় কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজ ও ডেসমন্ড হায়েন্স।

মজার খবর ওপরের পাঁচ জোড়া ওপেনারের মধ্যে তামিম ও কায়েস ছাড়া বাকি সবাই অবসরে চলে গেছেন। আর আগামীতে তাদের দ্বারা আরও ভালো কিছুর প্রত্যাশায় থাকতেই পারেন টাইগার সমর্থকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ২৩ এপ্রিল, ২০১৬
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।