ঢাকা: ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। আইসিসি স্বীকৃত লিস্ট ‘এ’ লিগ এটি।
অনেক নামী-দামি বিদেশি ক্রিকেটারও অংশ নেন এই লিগে। লিগের পরিধি বড় হলেও একটা ব্যাপার সবারই দৃষ্টিগোচর হয়ে আসছে ২০০৮ সালের পর থেকে। লিগ শেষে ক্লাবগুলোকে চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ ট্রফি দেয়া হচ্ছে না বিসিবির তরফ থেকে। চ্যাম্পিয়ন দল মাঠে ট্রফি ছাড়াই উল্লাসে মাতেন। এমন চিত্র অবশ্য আগামীতে আর দেখতে হবে না। বিগত সাত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ট্রফি একসাথে ক্লাবগুলোকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে সিসিডিএম থেকে কিছু কাজ বাকি রয়ে গেছে। ২০০৮ সালের পর থেকে রানারআপ এবং চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফিগুলা আমরা দিতে পারিনি। এবার সিসিডিএম সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই লিগ শেষ হওয়ার পর পরই যে ট্রফিগুলো বন্টন বাকি আছে সে সমস্ত ট্রফিগুলো একটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিয়ে দেয়া হবে। ’
এছাড়া, বিসিবি আবারও ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা পারফরমারদের পুরস্কৃত করার জন্য ‘স্পোর্টস নাইট’ চালু করতে যাচ্ছে। যেটি ২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে বন্ধ আছে। এ প্রসঙ্গে বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস বলেন, আরেকটা সিদ্ধান্ত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অ্যাওয়ার্ড নাইট আবারও চালু হচ্ছে। দেশি-বিদেশি যে সকল ক্রিকেটার লিগে ভালো করেছে তাদের পুরস্কৃত করার জন্য অ্যাওয়ার্ড নাইট হবে। যেটি ২০০৬-০৭ মৌসুমের পর আর হয়নি।
ঘরোয়া ক্রিকেট বিশেষ করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘এক সময় এখান থেকেই সবচেয়ে বেশি ন্যাশনাল প্লেয়ার বের হয়েছিল। সত্তর এর দশকের শুরু থেকেই এটার গুরুত্ব বাড়তে থাকে। সেখান থেকেই এর ধারাবাহিকতা চলে আসছে। এবার একটা জিনিস লক্ষ্য করা গেছে, প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে আমরা দেখেছি অনেক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ও জুনিয়র ক্রিকেটাররা ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে। আমরা আশা করি, লিস্ট ‘এ’ লিগটি থেকে ভবিষ্যতে আমরা আরও ক্রিকেটার পাব। এজন্য এখানে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেয়া উচিত। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ২৪ এপ্রিল ২০১৬
এসকে/এমআর