ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টেন্ডুলকারের থেকেও মেধাবী ছিলেন কাম্বলি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৬
টেন্ডুলকারের থেকেও মেধাবী ছিলেন কাম্বলি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের থেকেও মেধাবী ক্রিকেটার ছিলেন বিনোদ কাম্বলি! এমনটি মনে করেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ভারতের বিংবদন্তি ক্রিকেটার কপিল দেব।

ভারতের জার্সি গায়ে টেন্ডুলকার খেলেছেন ৪৬৩ ওয়ানডে, আর কাম্বলি খেলেছেন ১০৪টি ওয়ানডে।

টেস্টে যেখানে টেন্ডুলকার ২০০টি ম্যাচ খেলেছেন, সেখানে সাদা পোশাকে ভারতের হয়ে কাম্বলি খেলেছেন মাত্র ১৭টি ম্যাচ।

কিন্তু, এরপরও টেন্ডুলকারের থেকে তার শৈশবের বন্ধু কাম্বলিকে বেশি মেধাবী বলার যথেষ্ট যুক্তি দেখিয়েছেন কপিল দেব। স্কুলজীবনে রেকর্ড গড়া জুটি করে দু’জনের অভিষেকও হয়েছিল কাছাকাছি সময়ে। কৈশোরে তারা ছিলেন মানিকজোড়। সারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরের হয়ে ৬৬৪ রানের জুটি গড়ার পরই দুই কিশোর প্রতিভাকে চিনেছিল ভারত। প্রতিভায় শচীনের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিলেন না কাম্বলি। শচীনের সঙ্গে স্কুল পর্যায় থেকেই খেলেছেন তিনি।

তবে, ক্রিকেটার হিসেবে বেশিদিন টিকতে পারেননি কাম্বলি। শেষ পর্যন্ত মাঠের বাইরে নানা ঘটনার জন্ম দেয়ায় সমালোচিত এই ক্রিকেটার ২০০০ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানান।

ভারতীয় সাবেক অলরাউন্ডার কপিল জানান, শচীন আর কাম্বলি এক সঙ্গেই খেলা শুরু করে। তারা একই রকম মেধা নিয়ে ক্রিকেটে এসেছিল। অথচ দেখুন শচীন ভারতের ক্রিকেটকে ২৪ বছর দিয়েছে আর কাম্বলি দ্রুতই হারিয়ে গেছে। শুধু ক্রিকেটার হলেই হবে না, বড় ক্রিকেটার হতে গেলে পরিবারের সমর্থন দরকার, বন্ধুদের সমর্থন দরকার। শচীন তার পরিবার-বন্ধুদের থেকে যেভাবে সমর্থন পেয়েছে, কাম্বলি ঠিক সেভাবে বেড়ে উঠেনি। তার চারপাশের মানুষজন, পরিবেশ অনেক ভিন্ন ছিল। তার পরিবারের সদস্যরাও ভিন্ন ধরনের ছিলেন। এ কারণে শচীন ম্যাচের পর ম্যাচ খেলা চালিয়ে যেতে থাকলেও কাম্বলি হারিয়ে যায়।

কপিল আরও যোগ করেন, বড় ক্রিকেটার হতে গেলে সমর্থন অবশ্যই বড় একটি ব্যাপার। তার থেকেও বড় ব্যাপার হলো নিজের একান্ত কাছের বন্ধু, পরিবার, ভাই, বোন, স্কুল, কলেজ...সবকিছু থেকে সমর্থন পাওয়া। ছেলেকে যদি ক্রিকেটার বানাতেই চায় তাহলে বাবা-মার উচিৎ তাকে মাঠে নিয়ে যাওয়া। ছেলে মাঠে গিয়ে কি করছে সেটি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া দরকার।

বিনোদ কাম্বলি ১৭ টেস্টে ৫৪.২০ গড়ে করেছিলেন ১০৮৪ রান। চারটি শতকের পাশাপাশি ছিল তিনটি অর্ধশতক। ওয়ানডেতে ১০৪ ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৩২.৫৯, যেখানে দুটি শতকের পাশাপাশি ছিল ১৪টি অর্ধশতক। ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন ৫৩.৭৮ ব্যাটিং গড়ে ২০০ টেস্টে করেছেন ১৫,৯২১ রান। সাদা পোশাকে ৫১টি শতকের সঙ্গে তার রয়েছে ৬৮টি অর্ধশতক। ৪৬৩ ওয়ানডেতে ৪৪.৮৩ ব্যাটিং গড়ে শচীন করেন ১৮,৪২৬ রান। যেখানে শতক হাঁকিয়েছেন ৪৯টি আর অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ৯৬ বার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ০৮ মে ২০১৬
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।