ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘বড় ইনিংস খেললে গড় এমনিতেই বাড়বে’

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
‘বড় ইনিংস খেললে গড় এমনিতেই বাড়বে’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের নির্ভরতার প্রতীক মুমিনুল হক। টেস্ট ইনিংসে ৬০ এর উপরে গড় নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে উঠে আসেন আলোচনায়। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ক্রিকেটার ডন ব্র্যাডম্যানের ৯৯.৯৪ গড়ে রানের অবিশ্বাস্য স্থানটিতে পরের জায়গায় উঠে এসেছিলেন মুমিনুল।

ঢাকা: টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের নির্ভরতার প্রতীক মুমিনুল হক। টেস্ট ইনিংসে ৬০ এর উপরে গড় নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে উঠে আসেন আলোচনায়।

অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ক্রিকেটার ডন ব্র্যাডম্যানের ৯৯.৯৪ গড়ে রানের অবিশ্বাস্য স্থানটিতে পরের জায়গায় উঠে এসেছিলেন মুমিনুল।

এখন তার গড় অবশ্য ৫১.৬৬। বর্তমান টেস্ট ক্রিকেটারদের মধ্যে গড় বিবেচনায় তৃতীয় অবস্থানে আছেন মুমিনুল। অস্ট্রেলিয়ার ডানহাতি ব্যাটসম্যান অ্যাডাম ভোজেস ৬১.৮৭ গড় নিয়ে আছেন শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে আরেক অস্ট্রেলিয়ান স্টিভেন স্মিথ। তার গড় ৫৭.৫৯। এরপরই মুমিনুল হক।

ব্যাটিং গড় নিয়ে অবশ্য মুমিনুল হক মোটেও ভাবেন না। তার ভাবনায় থাকে কিভাবে বড় ইনিংস খেলা যায়। ২৫ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিশ্বাস বড় ইনিংস খেলতে পারলে গড় এমনিতেই চূড়ায় উঠবে।  

বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে মুমিনুল হক জানান, ‘আমি গড় নিয়ে এভাবে চিন্তা করি না। চিন্তা করলে উপরে উঠা যাবে না। টিমের জন্য বড় বড় ইনিংস খেলবো। নিজে নতুন নতুন জিনিস শেখার চেষ্টা করবো। প্রত্যেকটা ইনিংসে ব্যাটিয়ে উন্নতি করার চেষ্টা থাকে আমার মধ্যে। বড় ইনিংস খেললে গড় এমনিতেই বাড়বে। এটা নিয়ে চিন্তা না করে বড় ইনিংস কিভাবে খেলা যায় সেটি নিয়েই ভাবা উচিত। ’
 
মুমিনুল হকের ভাবনা এ ব্যাপারে যথার্থ হলেও নিজেকে ওই মাত্রায় নিয়ে যাওয়া তার জন্য খুব কঠিন। কেননা খুব কমই টেস্ট খেলার সুযোগ আসে বাংলাদেশ দলের। প্রায় ১৫ মাস বিরতির পর অক্টোবরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম ও মিরপুরে স্পিননির্ভর উইকেটে দুই টেস্টের চার ইনিংসে মুমিনুল একটি অর্ধশতসহ করেছেন ৯৪ রান। নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে না পারার পেছনে কী তাহলে লম্বা বিরতির প্রভাবটাই পড়লো?
 
মুমিনুল অবশ্য এভাবে ভাবেননি, ভাবছেনও না, ‘১৫ মাস পর খেলা আমার জন্য কঠিন হবে, ওভাবে চিন্তা করিনি। চিন্তা করলে কিছুই হতো না। একটা ফিফটি করেছি, ওটাও হয়তো হতো না। আমি সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করেছি। ১৫ মাস খেলিনি তাতে কী হয়েছে। এভাবে ভেবেছি। তবে হ্যাঁ, আরও বেশি প্রস্তুতি রেখে খেললে হয়তো আরও ভালো হতো। ’

ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেখানে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সঙ্গে আছে দুটি টেস্ট। ক্যারিয়ারে চার সেঞ্চুরির দুটিই মুমিনুল করেছেন কিউইদের বিপক্ষে। হয়তো তার প্রিয় প্রতিপক্ষই এখন নিউজিল্যান্ড।  

কিন্ত ওখানকার কন্ডিশন ভিন্ন হওয়ায় ইংল্যান্ড সিরিজের পরই কোচদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া শুরু করেন মুমিনুল, ‘এ ব্যাপারে কোচের সাথে কথা হয়েছে। বিপিএলের আগে ইংল্যান্ড সিরিজ শেষে কিছু কিছু টিপস দিয়ে গেছেন কোচ। এগুলো নিয়ে আমি অনুশীলন করছি। নিউজিল্যান্ড ট্যুর একটু চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আমার মনে হয় অত বেশি কঠিন হবে না। ওদের পেস অ্যাটাক ভালো। ওরা উইকেট ওভাবেই তৈরি করবে। যাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ায় ১০-১২ দিনের ক্যাম্প হবে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। ওটা যদি মনযোগ দিয়ে করতে পারি। ইনশাআল্লাহ, নিউজিল্যান্ডে ভালো কিছু হবে। ’

নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলে রয়েছে টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টদের মতো পেস বোলার। তিন নম্বরে ব্যাট করা মুমিনুলকে আটকাতে সাউদি, বোল্টরা নামবে পরিকল্পনা এঁটেই। এ ব্যাপারটি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন মুমিনুল, ‘অস্ট্রেলিয়ায় যখন প্রস্তুতি ক্যাম্প হবে তখন কোচের সাথে আলাপ করবো। ইতোমধ্যে কোচ কিছু কিছু জিনিস বলে দিয়েছেন। বোল্ট-সাউদিরা আমি যে জায়গায় ভালো খেলি ওই জায়গায় আক্রমণ করতে পারে। ওই জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করছি। আশা করি নিউজিল্যান্ডে ইতিবাচক কিছুই হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ১৫ নভেম্বর ২০১৬
এসকে/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।