ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

জয়ে ফিরলো রংপুর, তিন ম্যাচ পর বরিশালের হার

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
জয়ে ফিরলো রংপুর, তিন ম্যাচ পর বরিশালের হার ছবি: উজ্জ্বল ধর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে বরিশাল বুলসকে ১২ রানে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরলো রংপুর রাইডার্স। ১৭৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই বল বাকি থাকতে ১৬৩ রানে অলআউট হয় বরিশাল। টানা তিন জয়ের পর হারের স্বাদ পেল মুশফিকুর রহিমের দল।

চট্টগ্রাম থেকে: প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে বরিশাল বুলসকে ১২ রানে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরলো রংপুর রাইডার্স। ১৭৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই বল বাকি থাকতে ১৬৩ রানে অলআউট হয় বরিশাল।

টানা তিন জয়ের পর হারের স্বাদ পেল মুশফিকুর রহিমের দল।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৯ রান। হাতে তিন উইকেট। বোলিং প্রান্তে সোহাগ গাজি। চার বলে ৭ রানের বিনিময়ে সবকটি উইকেটের পতন ঘটে (দু’টি রান আউট)। নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে ১৭ রানে (১০ বল) অপরাজিত থাকা থিসারা পেরেরার একরাশ আক্ষেপই সঙ্গী হয়।

চট্টগ্রাম পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচটিতে টস জিতে নাঈম ইসলামদের ব্যাটিংয়ে পাঠান বলিশাল দলপতি মুশফিক। কিন্তু টার্গেটে খেলে জয়ের ধারা ধরে রাখার লক্ষ্যটা শেষ পর্যন্ত হতাশায় পরিণত হয়। জিভান মেন্ডিস ও নাদিফ চৌধুরী দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফিরলেও তা শেষ হাসির জন্য যথেষ্ট ছিল না।

বরিশাল শিবিরে শুরতেই জোড়া আঘাত হানেন অফস্পিনার সোহাগ গাজি। প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ব্রেকথ্রু এনে দেন তিনি। মোহাম্মদ শাহজাদের গ্লাভসে আটকা পড়েন শ্রীলঙ্কান ওপেনার দিলশান মুনাবেরা (০)। তৃতীয় ওভারের মাথায় ফর্মে থাকা শাহরিয়ার নাফিসকে (১২) নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন গাজি।

মুশফিকুর রহিমও (৮) দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন। লিয়াম ডসনের করা সপ্তম ওভারের শেষ বলে নাফিসের মতোই স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

চতুর্থ উইকেটে ৭৪ রানের পার্টনারশিপে বরিশালকে ম্যাচে ফেরান জিভান মেন্ডিস ও নাদিফ চৌধুরী। কিন্তু ১৬ ও ১৮তম ওভারে দু’জনকেই সাজঘরে পাঠিয়ে রংপুরকে জয়ের পথে নিয়ে আসেন শহীদ আফ্রিদি। সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হওয়ার আগে ২৫ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন নাদিফ। অর্ধশতক হাঁকিয়ে মোহাম্মদ শাহজাদের গ্লাভসবন্দি হন মেন্ডিস (৫৩ বলে ৫৭)।

রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন গাজি। দু’টি করে নেন অাফ্রিদি ও রুবেল হোসেন। ১৯তম ওভারে রায়াদ এমরিত (৯) ও আবু হায়দারকে (০) পরপর দুই বলে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন রুবেল। বাকি উইকেটটি নেন লিয়াম ডসন।

এর আগে মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটি ও ডসনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় রংপুর। নির্ধারিত ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তারা ছয় উইকেটে ১৭৫ রান তোলে। শেষদিকে, ছোটখাট ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন আফ্রিদি (১০ বলে ২২)।

ওপেনিংয়ে ব্যর্থতার বৃত্তেই থাকেন ফর্মহীনতায় ভোগা সৌম্য সরকার (১৪)। তৃতীয় ওভারে দলীয় ২১ রানের মাথায় তাইজুল ইসলামের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন রংপুর ওপেনার।

পঞ্চম ওভারের শেষ বলে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদকে (১৪) নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। ৪৬ রানের মাথায় নাফিসের হাতে ধরা পড়েন এ আফগান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।

দুই ওপেনারের বিদায়ে দলের হাল ধরেন মিঠুন। তৃতীয় উইকেটে ডসনকে নিয়ে ৭৮ রানের জুটি গড়েন। ১৫তম ওভারে থিসারা পেরেরার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬২ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন মিঠুন।

মিঠুনের বিদায়ে উইকেটে আসেন অাফ্রিদি। ছোটখাট ‘ব্যাটিং তাণ্ডব’ চালান পাকিস্তান আইকন। খুব বেশিক্ষণ অবশ্য টিকতে পারেননি। ১০ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় ২২ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই তাকে দিলশান মুনাবেরার ক্যাচে পরিণত করেন থিসারা পেরেরা।

ইংলিশ ব্যাটসম্যান ডসনের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ (৩৬ বল)। ১৯তম ওভারে তাকে আবু হায়দারের তালুবন্দি করেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার রায়াদ এমরিত।

বরিশালের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম ও থিসারা পেরেরা। বাকি উইকেটটি এমরিতের। শেষ ওভারে রান আউট হন সাচিত্রা সেনানায়েক (৭)।

এদিকে, বৃহস্পতিবারের (১৭ নভেম্বর) প্রথম হাইভোল্টেজ ম্যাচে তামিমের চিটাগং ভাইকিংসকে ১৯ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটা আরো সুসংহত করে সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। টুর্নামেন্টে জয়ে শুরু করা চিটাগং এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ হারলো।

ম্যাচ হেরে সাত দলের পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থান থেকে তিনে নেমে গেছে বরিশাল। পাঁচ ম্যাচে তিন জয় ও দু্ই হারে তাদের সংগ্রহ ৬। সমান পয়েন্ট হলেও রান রেটে এগিয়ে থাকায় চার থেকে দুইয়ে উঠে এসেছে রংপুর। পাঁচ ম্যাচে ৮ পয়েন্টে শীর্ষেই ঢাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।