ঢাকা: ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অর্জনের অভাব নেই ক্রিস গেইলের। কি টেস্ট, কি ওয়ানডে? সবখানেই দানব এই ব্যাটসম্যানের বিচরণ সমান।
গত কয়েক বছরের পারফরম্যান্স গেইলকে আরও বেশি বিধ্বংসী করে তুলেছে। এখন তাকে বলা হয় টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা। তবে জাতীয় দলেও তার ক্যারিয়ার খুবই সমৃদ্ধ।
এখন পর্যন্ত ১৪ বছরের লম্বা টেস্ট ক্যারিয়ারে গেইল একশটির বেশি ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে ১৫টি সেঞ্চুরি ও ৪০ এর ওপর গড় নিয়ে করেছেন সাত হাজারের বেশি রান। ওয়ানডেতে আছে ২২টি সেঞ্চুরি সহ প্রায় দশ হাজার রান। আর টি-২০ আসার পর বিশ্বব্যাপী তার জনপ্রিয়তা বাড়ায় তিনি পেয়েছেন ‘কমপ্লিট’ ক্রিকেটারের তকমা।
ক্যারিবীয় তারকার এতো সাফল্যের পরও জাতীয় দলে নেই তিনি। নির্বাচকদের সঙ্গে বনি-বনা না হওয়ায় গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দেশের হয়ে খেলছেন না ৩৭ বছর বয়সী এ তারকা। তবে আগামী ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি।
গেইল বলেন, ‘এবারের বিগ ব্যাশ মৌসুমে আমি খেলছি না। পরিবারকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি ইনজুরি থেকে ফিট হচ্ছি। আগামী পাকিস্তান সুপার লিগে মাঠে ফিরতে চাই পরে আইপিএল। আর আমি যদি ফিট ও ইনফর্ম থাকি, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে চাই। শুধুমাত্র টি-২০’তে নয়, ওয়ানডেতেও। সেই সঙ্গে ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে আমি দলের হয়ে খেলতে চাই। এই লক্ষ্যটি আমি ঠিক করেছি। ’
গত অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ২০১৫’র ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন গেইল। জাতীয় দলের হয়ে সেবারই শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।
এদিকে সারা বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত প্রায় সবগুলো লিগেই খেলে থাকেন গেইল। বিগ ব্যাশ, আইপিএলের সঙ্গে নিয়মিতই খেলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। এবারের আসরেও খেলেছেন চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে। টি-টোয়েন্টির এই ফরম্যাটে ১৮টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি করেছেন প্রায় দশ হাজার রান।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬
এমএমএস