মিরপুর থেকে: মহান বিজয় দিবসের প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচে শহীদ জুয়েল একাদশকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শহীদ মুস্তাক একাদশ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের প্রীতি ম্যাচটি।
বুলবুল-পাইলটদের দেওয়া ১৪৬ রানের জয়ের লক্ষ্য ৪ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় মুস্তাক একাদশ।
ওপেনিংয়ে নেমে নাইমুর রহমান দুর্জয় ৩৮ রানের ইনিংস খেলে লড়াইয়ে রাখেন দলকে। চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ৩৪ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। পাঁচটি চার ও দুটি ছ্ক্কায় ইনিংসটি সাজান এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। নান্নুর সঙ্গে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন মুস্তাক একাদশের অধিনায়ক আকরাম খান।
এনামুল হক মনি, নিয়ামুর রশিদ রাহুল ও আমিনুল ইসলাম বুলবুল নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
বিকেল পৌঁনে চারটায় শুরু হওয়া দিবা-রাত্রির ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে শহীদ জুয়েল একাদশ। শুরুটা ভালো করতে না পারলেও শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের দারুণ ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ের পুঁজি পায় দলটি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে তারা। দলের হয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুল সর্বোচ্চ ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে হাসানুজ্জামান ঝড়ো ইনিংসে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
এ দুই ব্যাটসম্যান ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন থেকে মাত্র ১৯ বলে মূল্যবান ৪৩ রান যোগ করেন দলের পক্ষে। এছাড়া মেহরাব হোসেন অপি ২৮, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুত ২৬ রান করেন।
শহীদ মুস্তাক একাদশের হয়ে সাইফুল ইসলাম, হাসিবুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মাদ রফিক, নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সাইফুল্লাহ জেম একটি করে উইকেট নেন।
শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল ও শহীদ মুস্তাক আহমেদের প্রতি সম্মান জানাতে ১৯৭২ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বিজয় দিবস প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচ। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন আজাদ বয়েজ ক্লাবের ক্রিকেটার জুয়েল। দেশ স্বাধীন হওয়ার একদিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিলেন তিনি। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, আজাদ ক্লাবের কর্মকর্তা মুস্তাক ২৫ মার্চের কালরাতে শহীদ হন তারই প্রিয় ক্লাবের কাছাকাছি স্থান গুলিস্তানে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
এসকে/এসএইচ