১ জুন থেকে ইংল্যান্ডে বসছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। আট দেশের প্রায় ১৮ শহর ভ্রমণে বেড়িয়েছে ‘নিশান ট্রফি ট্যুর’।
বর্তমানে এই ট্রফি অবস্থান করছে শ্রীলঙ্কায়। নিজ দেশে এই ট্রফির সঙ্গে দেখা না হলেও সেখানে থাকা সাব্বির, তাসকিন, সৌম্য, মোস্তাফিজরা এই ট্রফি হাতে ছবি তোলেন। সেখানে জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনও উপস্থিত ছিলেন। পরে সাব্বির তার ফেসবুক পেজে ট্রফি হাতে একটি ছবি পোস্ট করেন।
বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে মূল্যবান ট্রফি এটি। তাই দর্শকদের আকাঙ্খাও অনেক বেশি। ঢাকায় দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল ট্রফিটি। একঝলক দেখার আশায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ঘুরতে আসেন ক্রিকেটপাগলরা।
বাংলাদেশে ট্রফিটি অবস্থানকালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ইভেন্ট অপারেটর সারাহ এডগার উপস্থিত ছিলেন। পরে সংসদ ভবন এলাকাতেও রাখা হয়েছিল ট্রফিটি। তার আগে দেশের হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আনা হয়েছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটি।
এরপর ২১ তারিখে ঢাকা ভ্রমণ শেষে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রফিটি।
অনেকই জানেন। তারপরেও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরুটা কিন্তু ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশেই, নকআউট বিশ্বকাপ নামে। স্বাগতিক হয়েও সেই আসরে ছিল না বাংলাদেশ, তখনো যে পাওয়া হয়নি টেস্ট মর্যাদাটা! পরের তিন আসরে বাংলাদেশ খেললেও বাদ হয়ে যায় এর পর থেকেই। ২০০৬ সালে ছিল বাছাই পর্ব, যেটা উতরে মূল পর্বে যেতে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর ২০০৯ সাল থেকে তো টুর্নামেন্টটা হচ্ছেই ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ আট দলকে নিয়ে, যেখানটায় কিছুদিন আগ পর্যন্তও ঠাঁই হয়নি বাংলাদেশের।
এবার হয়েছে, যোগ্যতার পরিচয় দিয়েই। আইসিসির বেঁধে দেওয়া সময়ে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ আটে ছিল বাংলাদেশ, সুবাদে মিলেছে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সুযোগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ২৩ মার্চ ২০১৭
এমআরপি