কন্ডিশনের কথা ভেবেই মিরাজকে রাখা হয়নি প্রথম টি-টোয়েন্টির একাদশে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যদিয়ে মিরাজের অপেক্ষার অবসান হলো।
পেসার তাসকিনের জায়গায় দলে ঢুকেছেন মিরাজ।
সাদা জার্সিতে মিরাজ নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন আগেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডেও প্রথম দিকে ছিলেন না মিরাজ। পরে নির্বাচকরা তাকে বাংলাদেশ থেকে উড়িয়ে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যান। রঙ্গিন জার্সিতে স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার পর মূল একাদশেও জায়গা করে নেন তিনি। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচেই খেলেছেন মিরাজ। সব ম্যাচেই নিয়েছেন উইকেট।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে (অভিষেক ম্যাচ) ৪৩ রানে নিয়েছিলেন দুটি উইকেট। পরের ম্যাচে ৫০ রানের বিনিময়ে তিনি নেন একটি উইকেট। আর সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪৯ রানে তুলে নেন আরও একটি উইকেট। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে নামা লাগেনি মিরাজের। দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ব্যাট হাতে নামা হয়নি সে ম্যাচেও। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে নামার সুযোগ পান মিরাজ। আর ক্যারিয়ারের প্রথমবার ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে নেমেই করেন ৫১ রান।
নির্বাচকদের আস্থা রেখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছিলেন মিরাজ। এখন পর্যন্ত ৭ টেস্টে ৩১.৮০ গড়ে ৩৫ উইকেট নিয়েছেন। ব্যাট হাতেও আছে একটি হাফ-সেঞ্চুরি। অভিষেক সিরিজেই ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়ে ইংলিশদের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ১৯ উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ০৬ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি