ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

অনভিজ্ঞতাকেই দায়ী করলেন সুমন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
অনভিজ্ঞতাকেই দায়ী করলেন সুমন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

স্বাগতিক দ. আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সফরকারী বাংলাদেশের হয়ে যে ক’জন খেলেছেন তাদের মধ্যে একমাত্র সাকিব আল হাসানই এই ফরমেটে বেশি অভিজ্ঞ। বিশ্বের বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট যেমন আইপিএল, বিগ ব্যাশ, সিপিএল, এমনকি কাউন্টিতে খেলার অভিজ্ঞতায় ভরপুর এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

পক্ষান্তরে তার সতীর্থ হিসেবে যারা আছেন, তারা সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এই ক্রিকেটে অভিজ্ঞতার আলোকে এখনও অনেক পিছিয়ে। বছরে হাতে গোনা দু’একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং বিপিএল ছাড়া কদাচিতই টি-টোয়েন্টিতে খেলার সুযোগ পান।

মূলত এই বিষয়টিকেই জেপি ডুমিনিদের কাছে সাকিবদের নির্মম হারের (হোয়াইটওয়াশ) প্রধানতম কারণ বলে অভিহিত করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক এবং নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।

বাংলানিউজকে তিনি জানান, ‘টি-টোয়েন্টি আমরা খুব একটা খেলি না এবং সাকিব ছাড়া আর কারো বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোতে খেলার সুযোগ হয় না। আমরা শুধু বিপিএলই খেলি। তাই হয়তো ফলটা এমন দেখতে হয়েছে। ’

ভালো করার উপায় বাতলাতে গিয়ে তিনি বললেন, ‘বিপিএলটা আমরা যদি রেগুলার করতে পারি তাহলে আমাদের টি-টোয়েন্টি টিমটা এখন না হলেও আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে খুঁজে পাব। ’

শুধু টি-টোয়েন্টিই কেন। সদ্য সমাপ্ত এই সফরে টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। যে সে হার নয়, টেস্ট সিরিজে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর প্রিয় ফরমেট ওয়ানডেতেও ছিল ১০ উইকেট, ১০৪ রান এবং ২০০ রানের বিশাল হারের গ্লানি।

অথচ এ বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে এতটা হতাশাজনক ফলাফল নিয়ে দেশে ফেরেনি টাইগার শিবির। কন্ডিশন বিচেনায় দ. আফ্রিকার চেয়ে নিউজিল্যান্ড কোনো অংশেই কম বিরূপ ছিল না। হু হু বাতাসের পাশাপাশি ছিল উইকেটের বিমাতাসুলভ আচরণও। তারপরও প্রতিটি ম্যাচেই লড়াই করে হারার প্রবনতা ছিল দৃশ্যমান।

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএখন প্রশ্ন হলো দ. আফ্রিকায় দলের অবস্থা এমন শোচনীয় কেন? জবাব নেই সুমনের কাছেও, ‘এই প্রশ্নটা আমার নিজের কাছেও। আমি নিজেও খুঁজছি এতটা খারাপ কেন হলো। আমি শিওর আপনারা সবাই অ্যাগ্রি করবেন এটা বাংলাদেশের ক্রিকেট না। আমাদের কিন্তু এর চেয়ে ভালো খেলার সামর্থ্য আছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কিন্তু আরও কঠিন টুর্নামেন্ট। কন্ডিশন কিন্তু সেখানেও অনেক কঠিন ছিল। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে খেলতে হয়েছে, সেখানেও কিন্তু আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। সেমি ফাইনালে খেলেছি। ’

এরপর হঠাৎই যেন কারণ খুঁজে পেলেন এই টাইগার নির্বাচক, ‘একটা কারণতো আছেই। টপ অর্ডার ভালো করেনি, মিডল অর্ডার ভালো করেনি। আর বোলাররাও ভালো করতে পারেনি। মোট কথা আমরা কোনো বিভাগেই ভালো খেলিনি। ’

সবশেষে সুমন জানালেন, দল দেশে ফেরার পর টিম ম্যানেজমেন্ট দ. আফ্রিকা সফরের এমন দৈন্য পারফরমেন্সের চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণে বসবে। আরেকটি সূত্র জানালো, হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও নাকি দৈন্যতার এই সিরিজ নিয়ে ম্যানেজমেন্টের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

দেখাই যাক না কোচ কী প্রতিবেদন জমা দেন এবং সভা শেষে ম্যানেজমেন্ট জরাজীর্ণ এই সিরিজ নিয়ে কোটি কোটি টাইগার ভক্তের ক্ষতে কী বাক্য দিয়ে প্রলেপ দিতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ৩০ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।