রোববার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সভাশেষে তিনি একথা বলেন। পাপন বলেন, ‘এই সিরিজের জন্য কাউকে হেড কোচ করা কোন দরকার নেই।
অথচ এই বোর্ড সভা শেষেই নতুন হেড কোচের নাম উচ্চারিত হওয়ার জোর সম্ভাবনা ছিলো। ৫ ডিসেম্বর সাক্ষাতকার দিয়ে গেছেন রিচার্ড পাইবাস। রোববার দিলেন ফিল সিমন্স। ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন ছিলো তাদের ভেতর থেকেই কেউ হাথুরুসিংহের উত্তরসূরি হচ্ছেন।
কিন্তু সভা শেষে সংবাদ সাধ্যমের সামনে এসে পাপন যখন বললেন বিসিবি এখনই নতুন হেড কোচ নিয়োগ দিচ্ছেন না, তার এমন কথায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। কেননা এদিনের সভা শেষেই বিষয়টির নিস্পত্তি হওয়ার কথা ছিলো। তবে সাংবাদিকদের চাইতেও বিসিবি সভাপতিকেই বেশি অবাক মনে হলো।
সেটা অবশ্য অন্য কারণে। কারণটি হলো পাইবাস ও সিমন্স যখন মাশরাফি-সাকিবদের কোচ হওয়ার সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন ঠিক তখনই বিশ্বের নামি দামি আরও কোচের সাড়া পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি। বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় আটকে রাখতে পারেননি বিসিবি সভাপতি।
‘সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার গতকালকেও দুটো বায়োডাটা পেয়েছি। কাজেই আমরা রেসপন্স পাচ্ছি। আমরা পুরোটাই আজকে বোর্ডে আপডেট করেছি। অনেকের শর্তের সঙ্গে মেলে না, অনেকের টাইমের সঙ্গে মেলে না। তাই এই জিনিসগুলো করে শর্ট লিস্টেড নাম বোর্ডের কাছে এসেছে। এই বোর্ড মিটিং এর পরে আমরা আরও শর্ট লিস্টেড হয়ে গিয়েছি। শুধু নতুন যে দুজন আজকে দিয়েছে এবং আরেকজন যার সঙ্গে মোটামুটি সবই ঠিক হয়ে গেছে। তার পারিশ্রমিক এবং কবে জয়েন করতে পারবে সেই জিনিসটা যতক্ষণ নিশ্চিত না হবে, সেটার জন্য আমাদের আরও কয়েকটা দিন সময় লাগতে পারে। বাকিদের সঙ্গে কথা বলে খুব শিগগিরই কয়েকদিনের মধ্যে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলে আসব। '-তিনি যোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমএমএস