লাল দলের হয়ে ব্যাট হাতে ‘ডাক’ মারা মুশফিকুর রহিম দ্বিতীয় দফায় সবুজ দলে সুযোগ পেয়ে অপরাজিত ৪৪ রান করেন। মোহাম্মদ মিঠুনের ৩২ রান বাদ দিলে দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা নিষ্প্রভই ছিলেন।
এর বাইরে একমাত্র নাসির হোসেনই ব্যক্তিগত ২০ রানের কোঠা পার করতে সক্ষম হয়েছেন (২৫ রান)। সৌম্য সরকার ১৮, লিটন দাস ৭, নাজমুল হোসেন শান্ত ১৩, আরিফুল হক ৯, সাইফউদ্দিন ১৩, মাশরাফি ৭, মিরাজ ৫ ও নাজমুল হোসেন অপু করেছেন ১ রান।
লাল দলের হয়ে বল হাতে রুবেল হোসেন ও আবু হায়দার রনি নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। আর সানজামুল ইসলাম, আবু যায়েদ রাহি, আবুল হাসান রাজু ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
এর আগে শনিবার (৬ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে লাল দলের ইনিংসের শুরু করেন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। ব্যক্তিগত ২১ রানে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে বোল্ড হন বিজয়।
ওয়ানডাউনে নামেন লাল দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে খুব বেশি দূর নিজের ইনিংস টেনে নিতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২৪ রানে তাসকিনের বলে সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এ বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
পরের বলেই মুশফিকুর রহিমকে শূণ্য রানে বোল্ড আউট করে হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়ান তাসকিন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তার হ্যাটট্রিক বলটি দেখে শুনে খেললে বঞ্চিত হন এই টাইগার স্পিডস্টার।
রিয়াদ উইকেটে আসলে তার সাথে দারুণ বোঝাপড়ায় লাল দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান তামিম। এরপর ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১০৪ রান নিয়ে রিটায়ার্ড আউট হয়ে ফেরেন ড্রেসিংরুমে। সাব্বির রহমান খেলেন ২০ রানের ইনিংস। দুর্দান্ত খেলতে থাকা এ ব্যাটসম্যান সাইফউদ্দিনের হাতে কট অ্যান্ড বোল্ড হন।
ব্যক্তিগত ৮৭ রানের ইনিংস খেলে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর লোয়ার অর্ডারে আবুল হোসেন রাজুর ৩৫ রানে দলীয় তিনশ’ রানের কোঠা পার করে লাল দল। সানজামুল ইসলাম ও আবু হায়দার রনি দুজনই ৪ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫০ ওভারে ৩২০ রানের বড় সংগ্রহ পায় সাকিব-তামিমরা।
সবুজ দলের হয়ে মোস্তাফিজ, তাসকিন ও সাইফউদ্দিন নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। তবে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছিলেন মাশরাশি। ৯ ওভার বল করে ৮৭ রান দিয়েছেন এ পেসার। কোনো উইকেটের দেখাও পাননি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, ৬ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমআরএম