কেননা লম্বা এই সময়টিতে লাল-সবুজের ক্রিকেটের সদস্যদের সাথেই তার যতো উঠা-বসা, আলোচনা, গেম পরিকল্পনা, হারের গ্লানি ও জয়ের উৎসব ছিল। বর্ণিল এ সময়গুলো পার করেছেন টাইগারদের সদ্য বিদায়ী এই কোচ।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশ দলের কোনো সদস্যের সাথেই হাথুরুর এমন সম্পর্ক তৈরি হয়নি এবং কারো জন্যই তিনি এতটুকু টান অনুভব করেন না, ‘এখানে যে সাড়ে তিন বছর ছিলাম, সেখান থেকে নিশ্চয়ই জানেন আমি ইমোশনাল মানুষ নই। ইমোশন তাই খুব বেশি নেই। ’
তবে ভাবাবেগশূন্য এই মানুষটি রোববার (১৪ জানুয়ারি) মিরপুরে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাবেক শিষ্যদের শুভ কামনা জানাতে ভুলে গেলেন না। পাশাপাশি এও জানিয়ে রাখলেন আবার বাংলাদেশে আসতে পেরে তিনি রোমাঞ্চিত। আর আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজটি নিয়েও তার রোমাঞ্চের কমতি নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি এখনও চাই বাংলাদেশ ভালো করুক। ক্রিকেটারদের শুভকামনা জানাই। ওদের সঙ্গে অনেক ঘনিষ্ঠ ছিলাম, খুব ভালো জানা শোনা হয়ে গিয়েছিল। আমি চাই ওরা অনেক সাফল্য বয়ে আনুক। বাংলাদেশে আবার ফিরে আমি রোমাঞ্চিত। সিরিজটির দিকে তাকিয়ে আছি। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। দেশে খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। আমাদের উন্নতির অনেক জায়গা আছে। সেটি নিয়েও আমি রোমাঞ্চিত। ’
নতুন দায়িত্বে হাথুরুসিংহে রোমাঞ্চিত হলেও সংবাদ সম্মেলনে তার কথা শুনে মনে হল, মাশরাফিদের নিয়ে তিনি ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছেন, ‘দেশের মাটিতে বাংলাদেশ খুব ভালো দল। গত আড়াই বছরে একটি ছাড়া আমরা আর সিরিজ হারিনি। ‘আমরা’ বলতে আমি বোঝাচ্ছি বাংলাদেশকে। ওরা ওয়ানডেতে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে। তারা নিজেদের ভূমিকা ও ম্যাচ পরিকল্পনা খুব ভালো করে জানে। সেদিক থেকে প্রতিপক্ষের জন্য এখানে খেলা অনেক চ্যালেঞ্জিং। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস