এটি হবে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে ৯৯তম ওয়ানডে। দু’দিন পর ম্যাচের সেঞ্চুরি পূরণ করবে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে।
শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে শেষ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২০০৯ সালের শিরোপা নির্ধারণীতে লঙ্কানদের কাছে ২ উইকেটে হারের হতাশায় ডুবেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এবার প্রথমবারের মতো শিরোপা দেশে রেখে দিতে আত্মবিশ্বাসী মাশরাফির দল।
শক্তির বিচারে স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। মূল লড়াইটা হবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। যে দলের কোচ আবার টাইগারদের সবশেষ গুরু চন্ডিকা হাতুরুসিংহে। জিম্বাবুয়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে। এ ধরনের সিরিজে কাউকেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। মাশরাফি বিন মর্তুজার কণ্ঠেও একই সুর। পা মাটিতেই রাখছেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক।
গত বছরের জুন-জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতেই ৩-২ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। এটিকে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে দেখছেন মাশরাফি, ‘প্রতিপক্ষ যেই হোক সহজ হবে না। বিশেষ করে যদি জিম্বাবুয়ের দিকে তাকান তারাও ভালো দল। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতে হারিয়ে এসেছে। উইকেট এখন পর্যন্ত ভালো মনে হচ্ছে। আর প্রত্যাশা সবার যা আমাদেরও তা। আমরা অবশ্যই জিততে চাই এবং ভালোভাবে জিততে চাই। ধারাবাহিকভাবে টুর্নামেন্টে টিকে থাকা শ্রীলঙ্কাও ভালো দল। ’
অব্যাহত কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় টস একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। ম্যাচের আগের দিন এ বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছেন মাশরাফি। টস খুব বেশি প্রভাব ফেলবে এমনটি মনে করেন না তিনি। বরং টিমের গেম ফ্ল্যান ও সঠিক বাস্তবায়নের দিকে জোর দিচ্ছেন বেশি, ‘আসলে আমরাও সন্দেহে আছি। ব্যাটিং করলে ভালো হবে নাকি বোলিং করলে ভালো হবে। এটা কুয়াশার ওপর নির্ভর করছে। ভারী কুয়াশা পড়লে বা শিশির বেশি না পড়লে বোলিংটা ভালো হয়। তাই সবকিছু নির্ভর করছে নির্দিষ্ট দিনে আবহাওয়া কেমন থাকছে। আমার মনে হয় এটা নিয়ে না ভেবে, শুরুতে ব্যাটিং কিংবা বোলিং যেটাই পাই না কেন পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করাটাই গুরুত্বপূর্ণ’।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম